পড়ার সময় খেয়ে ফেলছে ইন্টারনেট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে বেশি সময় দেওয়ার কারণে তরুণদের পড়ালেখার সময় কমে যাচ্ছে। তরুণদের পড়ালেখা এখন মূলত শ্রেণিকক্ষকেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে শিক্ষকেরা যতটুকু পড়াচ্ছেন, এর বাইরে খুব সামান্য সময় তরুণেরা নিজে অথবা লাইব্রেরিতে পড়াশোনায় ব্যয় করছে।

প্রথম আলোর জরিপের তথ্য বলছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে পড়ালেখায় গড়ে সময় দেয় মাত্র ৩৯ মিনিট। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ ৩০ মিনিট বা তারও কম সময় পড়ালেখা করে ক্লাসের বাইরে। প্রতি চারজনে একজন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় দেয়। সাড়ে ১২ শতাংশ ক্লাসের বাইরে কোনো পড়ালেখাই করে না, আর মাত্র ৬ শতাংশ ১ ঘণ্টা বা এর বেশি সময় পড়ালেখা করে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফাহিম মাশরুর এ বিষয়ে বলেন, এখনকার তরুণেরা যে পড়ে না, তা নয়। সারা দিন ফেসবুক বা অন্য যোগাযোগমাধ্যমে তারা যত তথ্য পড়ে এবং যত সময় ব্যয় করে, সে সময় ব্যয় করে একটি মোটা বই পড়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো পড়ার এ কাজটি হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। এ সময় দিতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে ক্লাসের বাইরে তারা খুব বেশি সময় পড়ালেখায় দিতে পারছে না।

শিক্ষার মান নিয়ে অসন্তুষ্টি

তরুণেরা একদিকে বলছে, তারা পড়ালেখায় সময় কম দিচ্ছে, অন্যদিকে দেশের শিক্ষার সার্বিক মান নিয়েও তাদের অসন্তুষ্টি রয়েছে। জরিপে ৮৪ শতাংশ তরুণ শিক্ষার মান নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বলেছে, তারা এ বিষয়ে ‘যথেষ্ট উদ্বিগ্ন’। আর ৩৯ শতাংশ ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছে। এর বিপরীতে মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ বলেছে, শিক্ষার মান নিয়ে তারা মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। উত্তরদাতা ২ শতাংশের এ বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।