কারাবন্দীদের হাসপাতালে রাখতে কড়াকড়ি আরোপ

এখন থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কারাবন্দীদের যাবতীয় তথ্য প্রতি মাসে দুবার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। বন্দীদের হাসপাতালে থাকার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করতে এবং কারাগারের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি কারা মহাপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের নজরে এসেছে, কারাগারের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে কয়েদি ও হাজতিরা চিকিৎসাধীন। এঁদের মধ্যে কারও কারও হাসপাতালে অবস্থানের মেয়াদ বছরেরও বেশি। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বিব্রতকর। এ কারণে এখন থেকে প্রতি মাসের ১ ও ১৬ তারিখ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদি ও হাজতিদের কারাগারে ফেরত পাঠানোর তারিখ জানাতে হবে। তা ছাড়া কোন হাসপাতালে কে কত দিন অবস্থান করেছেন বা করছেন, তারিখসহ হাসপাতালের নাম, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা চিকিৎসকের নাম ও পদবি উল্লেখ করে তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

হাসপাতালে থাকা কারাবন্দীদের এসব তথ্য পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (কারা) সভাপতিত্বে প্রতি মাসে সভা হবে। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারাগারের বাইরে বছরের বেশি সময় ধরে কয়েদিদের থাকার বিষয়টি খুবই বিব্রতকর। এ জন্য এখন আমরা পুরো বিষয়টি তদারকির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাউকেই কোনো ধরনের অবৈধ সুবিধা দেওয়া হবে না।’

প্রসঙ্গত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ ২০ মাস, ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদা ১৯ মাস, খুনের মামলার আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান, বেসিক ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জয়নাল আবেদীনসহ অনেকে হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থেকেছেন। প্রথম আলোতে এ নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।