পার্লামেন্টকে যাঁরা অপরিপক্ব বলেন, তাঁরা অপরিপক্ব: তোফায়েল

তোফায়েল আহমেদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
তোফায়েল আহমেদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘রায়ে পার্লামেন্টকে অপরিপক্ব বলা হলো, আমরা তো বলতে পারি যে যারা এ ধরনের কথা বলে, তারা অপরিপক্ব।’

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড: দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাব অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় হবে যে পার্লামেন্ট ইমপিচ (অভিশংসন) করবে কি করবে না। আপনি সেটা বলেন। এটা নিয়ে তো আমরা বিতর্ক করছি না। আমরা বলছি না যে এটা ঠিকমতো হয়নি, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আইয়ুবতান্ত্রিক ছিল।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনারা যে অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) দিলেন, আমাদের পার্লামেন্টকে বললেন যে এটা ইম্যাচিউরড (অপরিপক্ব)। আমরা তো বলতে পারি যে যারা এ ধরনের কথা বলে, তারাও পরিপক্ব নয়।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দেশটা আসলে দুই ভাগে বিভক্ত, সত্যি কথা বলতে কী আওয়ামী লীগ ভার্সেস (বনাম) দেশ। সব টকশোতে আপনারা দেখবেন, বিএনপি মাইন্ডেড (সমমনা) যারা, তারা এই রায়কে সমর্থন করছে। আর আমাদের লোকজন যারা যায়, তারা কী সমীহ করে কথা বলে, গলার স্বর একটু কম থাকে। আমরা এটা লক্ষ করি। কিন্তু যেই এইটা (ষোড়শ সংশোধনীর রায়) নিয়ে বিএনপি কথা বলতে শুরু করল, তারপরে আমরা তার জবাব দিতে শুরু করলাম। আজকে খায়রুল হক যদি আদালত অবমাননা করে থাকে, দেখা গেল আইনজীবীরা মিছিল করছে। আজকে যদি বিএনপির আইনজীবীরা মিছিল করে এই রায়ের পক্ষে, তাহলে কী মিন (বোঝায়) করে? এমন একটা অবজারভেশন দেওয়া হয়েছে যে অবজারভেশনটা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে পারে। তারা (বিএনপি) যে একটা অসাড় অবস্থায় ছিল, খারাপ অবস্থায় ছিল, সেটাকে রেস্টর করার জন্য যদি এই অবজারভেশনগুলো দিয়ে থাকে—এটাই তো মানুষ মনে করে।’

এ সময় জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত বদরুদ্দীন উমর লিখিত একটি উপসম্পাদকীয় বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তিনি (বদরুদ্দীন উমর) স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। তিনি তো তা বলবেনই।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এই বাংলাদেশের ক্ষতি করে থাকেন, সেটা জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্নেল ফারুক বিবিসিতে সাক্ষাৎকারে বলেছে, জিয়াউর রহমান বলেছে গো এহেড (এগিয়ে যাও)। সেই বাংলাদেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবু সাইয়িদ, দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সরওয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।