দিঘির ড্রাম থেকে বের হলো লাশ

দিঘিতে গোসল সেরে পাড়ে ওঠার সময় পায়ে কী যেন একটা আটকায়। কৌতূহলী হয়ে এক ব্যক্তি একটু নিচু হয়ে হাত দিয়ে দেখেন টিনের ড্রাম। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা, ফায়ার সার্ভিস ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

দিঘি থেকে ড্রামটি পাড়ে তুলে পুলিশ দেখে, এটির ভেতর আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিকৃত লাশ। ততক্ষণে পাড়ে হাজির হয় শত শত উৎসুক লোক। আজ রোববার বিকেলে নগরের এনায়েত বাজারের রানীর দিঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, দিঘির পাড়ে পানির মধে৵ একটি ড্রাম পড়ে আছে—স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ড্রামের ভেতর বোমা আছে কি না, পরীক্ষার জন্য নগর গোয়েন্দা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হাজির হন। সবার উপস্থিতিতে রশি দিয়ে দিঘি থেকে ড্রামটি পাড়ে তোলা হয়। ড্রামটির একপাশে টিন এবং আরেক পাশে সিমেন্ট দিয়ে আটকানো। যেদিকে টিন রয়েছে ওই দিকে কাটা হয়। দেখা যায়, ড্রামের ভেতর উপুড় করে রাখা হয়েছে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ। ড্রামের ভেতর লাশের সঙ্গে ইট ও সিমেন্টও রাখা হয়, যাতে ড্রামটি পানিতে না ভাসে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে লাশের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলমের ধারণা, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে লাশটি ড্রামের ভেতর ঢোকানো হয়। রানীর দিঘিতে ড্রামটি কখন ফেলে দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। স্থানীয় লোকজনও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। রানীর দিঘির চার পাড়ে চলাচলের রাস্তা রয়েছে। আশপাশে বসতি। কীভাবে ড্রামটি দিঘিতে এল, তা বের করার চেষ্টা চলছে।

এর আগে চলতি বছরের ৩ মে ওই দিঘিতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর একটি প্যাকেটে মোড়ানো ১০০টি তাজা গুলির সন্ধান দেয় পুলিশকে। গুলিগুলো পয়েন্ট টুটু বোর পিস্তলের। বেশির ভাগ গুলিই তাজা। দিঘির পূর্ব পাড় থেকে প্রায় এক ফুট দূরে পানির নিচে এসব গুলি ছিল। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। বর্তমানে নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে। তবে এখনো গুলির উৎস জানা যায়নি।