'গণহত্যার বিচার এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হবে'

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, স্বাধীনতাকামীদের প্রতিরোধব্যূহ ভাঙতে পাকিস্তানি দোসররা যে গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে দেশের গ্রামেগঞ্জে, সবখানে। এটাকে সামনে আনতে হবে, জাতিকে জানাতে হবে তার ইতিহাস। এই গণহত্যার বিচার এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।

মন্ত্রী গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা বিএমএ ভবনে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র’ আয়োজিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পাঠক্রমের ‘সনদ বিতরণ ও ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালার মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত আমরা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি। এই স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এটা এখন লড়াইয়ের একটা অংশ। স্বীকৃতি দরকার শহীদদের প্রতি শুধু শ্রদ্ধা জানাতেই নয়, পাশাপাশি যারা হত্যা করেছে এবং যে দেশটি এ হত্যার জন্য দায়ী, তাদের বিচার করতে হবে। না হলে পৃথিবীতে ন্যায়বিচার বলে কিছু থাকে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক শেখ বাহারুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে তিনি গবেষণাকাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জনকে সনদ প্রদান করেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন খুলনার একটি সড়কের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করার জন্য সিটি মেয়রসহ সব রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীর প্রতি আহ্বান জানান।

পরে মন্ত্রী নির্মাণাধীন খুলনা বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন পরিদর্শন করেন।