বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো

নওগাঁর আত্রাইয়ে দুটি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শ একর জমির ফসল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিভিন্ন উঁচু জায়গায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল রোববার ভোররাতে উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং ভরতেঁতুলিয়া এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এ দুটি স্থানে বাঁধ ভাঙার ফলে কয়েক শ একর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বর্তমানে আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি ও বাঁধ ভাঙার ফলে প্রায় ২০-২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ফুলবাড়িয়া, উদনপৈ, মিরাপুর, জাতপাড়া, কুমঘাট, জাতআমরুল জিয়ানীপাড়া, ভরতেঁতুলিয়া, কাশিয়াবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে দুটি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় আত্রাই-নওগাঁ ও আত্রাই-পতিসর সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে।
ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের জাহানারা বানু বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে আমাদের থাকার ঘরে আকস্মিক পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক আসবাবপত্রও আমরা ঘর থেকে বের করতে পারিনি।’
উপজেলার শাহাগোলা ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভাঙা ও আত্রাই-নওগাঁ সড়কে ফাটলের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সড়কটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’