সড়ক দখল করে গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা!

উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে সড়ক দখল করে চলছে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা l প্রথম আলো
উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে সড়ক দখল করে চলছে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা l প্রথম আলো

রাজধানীর উত্তরার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক গাউসুল আজম অ্যাভিনিউর ১৩ নম্বর সেক্টর অংশে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে চলছে 

রেন্ট-এ–কারের ব্যবসা। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী-পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাউসুল আজম অ্যাভিনিউর ওই অংশে ফুটপাতের ওপর কাঠ-বাঁশ-টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকান। দোকানের সামনে ছোট টেবিল নিয়ে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। আর মূল সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হয়েছে গাড়ি। ব্যস্ত সড়কের মোড়ে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে রাখার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। পথচারীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।

পথচারী রাজীব আহমেদ বলেন, এভাবে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা চালানোর কারণে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। সকাল ও দুপুরে এই স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

১২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়। একটু পরপর সৃষ্টি হয় যানজট।

একাধিক রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তাঁরা ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে আওয়ামী মোটরচালক লীগের উত্তরা থানার নেতাদের ও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে ব্যবসা চালাচ্ছেন তাঁরা। এই ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য কী পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়, সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আওয়ামী মোটরচালক লীগের উত্তরা থানা শাখার সভাপতি মো. মোক্তার তাঁদের ব্যবসায় সাহায্য করেন।

ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার বিষয়ে জানতে কার্যালয়ে গিয়ে মোটরচালক লীগের সভাপতি মো. মোক্তারকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

পুলিশকে ম্যানেজ করার ব্যাপারে বক্তব্য জানতে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।

ঢাকা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বলেন, রাস্তায় এভাবে গাড়ি রাখলে হয়তো এতক্ষণে মামলা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, রাস্তায় ব্যস্ত থাকায় ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা ফুটপাতের দিকে খেয়াল রাখার সময় পান না।

আর ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি এখানে যোগ দিয়েছি কিছুদিন আগে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’