পোস্তগোলায় গুলির ঘটনায় একজন শনাক্ত

রাজধানীর পোস্তগোলায় পুলিশের সহকারী কমিশনার রাহুল পাটোয়ারিসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে গুলি লেগে রাহুলের খাদ্যনালিতে দুটো ফুটো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

গত শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে পোস্তগোলার বটতলা বাজারের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে অপরাধী ধরতে গেলে তারা পুলিশের দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রাহুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ বাকি দুজনের মধ্যে একজন পুলিশের সোর্স বিল্লাল হোসেন, অন্যজন পথচারী সেলিম। রাহুলের পেটের বাঁ পাশে, বিল্লালের পায়ে এবং সেলিমের পিঠে গুলি লাগে। বিল্লাল ও সেলিমের অবস্থাও আগের চেয়ে ভালো বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

এদিকে ঘটনাস্থল বটতলা এলাকায় গিয়ে জানা যায়, লোহালক্কড়ের বাণিজ্যকেন্দ্র ওই এলাকাটি নয়টার দিকে জমজমাটই ছিল। হঠাৎ তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থল নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিক উল্টো দিকের দোকানদার জামাল হোসেন বলেন, ভিড়ভাট্টা, হইচইয়ের মধ্যে হঠাৎ গুলির শব্দে প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো কোনো গাড়ির চাকা ফেটেছে। পরে সবাই বুঝতে পারেন গুলি হয়েছে। তাঁরা একটি মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে পেটে গুলিবিদ্ধ একজনকে পোস্তগোলা সেতুর দিকে যেতে দেখেন। পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ অন্যদের রিকশায় করে নিয়ে যাওয়া হয়।

নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিশাল প্লটের পাহারায় বসানো হয়েছে আনসার ক্যাম্প। সেখানকার আনসার সদস্য মো. সুলতান বলেন, তখন যাঁরা কর্তব্যে ছিলেন, তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছেন। এরপর পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

তখন দায়িত্বরত আরেকজন আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনার পর দুজনকে অস্ত্র হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা আতঙ্ক ও উত্তেজনা রয়েছে।

এদিকে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে একটি ভবনের সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেটি নষ্ট থাকায় তাঁরা কোনো ফুটেজ পাননি।