কেরানীগঞ্জে সড়কের খানাখন্দে দুর্ভোগ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী, চুনকুটিয়া চৌরাস্তা ও হিজলতলা এলাকায় ঢাকা-মাওয়া সংযোগ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ হয়ে আছে। এ ছাড়া সংস্কারের অভাবে আরও দুটি সড়কের অবস্থাও খারাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার এবং মুন্সিগঞ্জ, মাওয়া, মাদারীপুর, শিবচর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া জিনজিরা ফেরিঘাট থেকে জিনজিরা বাস রোড, বন্দ ছাটগাঁও, মনু ব্যাপারীর ঢাল, কুশিয়ারবাগ, কালিন্দী, নেকরোজবাগ, কোনাখোলা, রামেরকান্দা ও রুহিতপুর পর্যন্ত সড়কও খানাখন্দে ভরা।
ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী যমুনা পরিবহনের চালক সেলিম মিয়া জানান, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর দক্ষিণে কদমতলী থেকে ডাকপাড়া, মনু ব্যাপারীর ঢাল ও কালিন্দী এলাকায় সড়কের দুই পাশের পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে কদমতলী ও রুহিতপুর এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই সড়কে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরনাহার আক্তার জানায়, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট খানাখন্দে চুনকুটিয়ায় সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি দ্রুত মেরামত করা দরকার।
গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী ডিএম পরিবহনের চালক মঞ্জুর হোসেন বলেন, চুনকুটিয়া ও কদমতলী এলাকায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার পাশে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হয়। ফলে এ সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
জিনজিরা-রুহিতপুর সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী হেমায়েত উদ্দিন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জিনজিরা, মনু ব্যাপারীর ঢাল, কালিন্দী ও রুহিতপুর এলাকায় সড়কের অবস্থা খুব খারাপ।
সড়ক ও জনপথ ঢাকা বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমিনুল আহসান বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করা যাচ্ছে না। যান চলাচলের উপযোগী করতে এসব সড়কের গর্তগুলোতে খোয়া ফেলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কদমতলী থেকে ডাকপাড়া, জনি টাওয়ার ও মনু ব্যাপারীর ঢাল এলাকাসহ রুহিতপুর সড়ক পুনঃসংস্কার ও স্থায়ীভাবে নির্মাণে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্ষার পর কাজ শুরু হবে।