এই ঈদেও টুকটাক কেনাকাটা

বড়দের চাহিদা তেমন না থাকলেও ছোটদের বায়না মেটাতে হচ্ছে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
বড়দের চাহিদা তেমন না থাকলেও ছোটদের বায়না মেটাতে হচ্ছে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

ঈদুল আজহায় কেনাকাটা বলতে হাটে গিয়ে পছন্দের পশুটি কিনে নেওয়া। তবে ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর বিপণিবিতানে পোশাকসহ নানান জিনিসের টুকটাক কেনাকাটা চলছে। নতুন সংগ্রহের নানান রকম বিজ্ঞাপন দিচ্ছে পোশাকের শপগুলোও।

‘ঈদ কালেকশন’ নামে নতুন পোশাকের বিজ্ঞাপন ভেসে বেড়াচ্ছে চারদিকে। যদিও ঈদুল ফিতরের মতো জমজমাট কেনাবেচা হয় না। তবুও মার্কেটগুলোতে একটু ঢুঁ দিয়ে বোঝার চেষ্টা কেমন বিকিকিনি হচ্ছে এবার। সব শ্রেণির মানুষের কেনাকাটার স্থান রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনি চক ও গাউছিয়াতে বাড়তি ভিড় নেই। চাঁদনি চকে ‘এম আর প্লাস’ নামের পোশাকের দোকানে বেচাকেনা সম্পর্কে বিক্রয়কর্মী মো. ইমন বলেন, ‘কোরবানি ঈদে কিছুই বেচা হয় না। রোজার ঈদের তুলনায় মাত্র ২০ ভাগ বেচা হয়।’ এ মার্কেটের দরজির দোকানগুলোও খাঁ খাঁ করছে। ‘মিনহা লেডিস ফ্যাশনের’ টেইলর মো. মনির বলেন, রোজার ঈদের সময়ে প্রায় দুই মাস আগে থেকেই ব্যস্ততা থাকে কিন্তু এই ঈদ এলে এক সপ্তাহ আগে কিছুটা ব্যস্ততা শুরু হয়।
গাউছিয়ার শাড়ির দোকানেও ঢিমেতালে বিক্রি হচ্ছে। মাহমুদা খানম দুটি শাড়ি কিনেছেন কিন্তু ঈদ উপলক্ষে নয়, প্রয়োজনে কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য টুকটাক কিনেছি। এই ঈদে তো সবার ব্যস্ত থাকা হয়। নতুন পোশাকের আগ্রহ কম।’ তবে তিনি কিছু বাসন-কোসন কিনেছেন।

ঈদুল আজহাতে মানুষের কেনাকাটা কম হয়। অনেক বিপণিবিতানই ক্রেতাশূন্য। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
ঈদুল আজহাতে মানুষের কেনাকাটা কম হয়। অনেক বিপণিবিতানই ক্রেতাশূন্য। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

শাহবাগের আজিজ কো অপারেটিভ সুপার মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানেই নতুন পোশাক উঠেছে। এখানে কে-ক্র্যাফটের শাখা ব্যবস্থাপক মো. মনির হোসেন বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এ ঈদে কেনাকাটা কম হয়। তবুও তাঁরা কিছু নতুন নকশার পোশাক তুলেছেন। ছেলেদের পোশাকের ব্র্যান্ড ইজির কেনাবেচাও জমেনি। এবারের পোশাকের চাহিদা নিয়ে এই ব্র্যান্ডটির শাখা ব্যবস্থাপক হৃদয় ঢালী বলেন, ‘গত ঈদে পাঞ্জাবি ও শার্ট বেশি চলেছে। তাই এবার দেখছি টি-শার্ট বেশি নিচ্ছে। আবহাওয়ার কারণেও হতে পারে।’
বসুন্ধরা সিটির দেশি-দশে লোকজন কম। দেশালের সহকারী ব্যবস্থাপক রোজারিও বলেন, শুক্রবার (আজ) ঈদের আগে শেষ ছুটির দিন হওয়ায় তাঁরা আশা করছেন, কিছু ভিড় হবে। তবে শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। রং, নিপুন, বাংলার মেলাসহ বাকিগুলোরও একই অবস্থা। আরেকটি পোশাকের ব্র্যান্ড ইয়েলোতে কিছুটা ভিড় লক্ষ করা গেল। হুমায়রা খান কুর্তি পছন্দ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই ঈদে ঘোরাঘুরি তেমন হয় না তো তাই হালকা রং ও নকশার পোশাক নেব।’ ইয়েলোর এ শাখার ব্যবস্থাপক তানভীর আলম বললেন, এবার বিক্রি খারাপ না। শুক্রবার থেকে আরেকটু বাড়বে। আড়ংয়েও ঈদের ভিড় দেখা গেল না। প্রয়োজনের কেনাকাটাই বেশি। শেষ দিকে জমে ওঠার আশা এখানেও।