৪৮ ঘণ্টা পরও মামলা নেয়নি পুলিশ

মিরপুর থানার পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার ছাত্রের মায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ।
ছাত্রটির মা অভিযোগ করেন, মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা নেবেন বলে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁকে থানায় বসিয়ে রাখেন। কিন্তু মামলা নেননি।
গতকাল সন্ধ্যায় মিরপুর থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি।
চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গত ৪ আগস্ট বখাটেরা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্রের ডান পা ভেঙে দেয়। ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, ফাহিম নামের একজনের নেতৃত্বে সিয়াম, শাহিন ও রুবেল এই হামলা চালিয়েছেন।
পরে এই ঘটনায় করা মামলায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
হামলার শিকার ওই ছাত্রের মা বলেন, ফাহিমের সহযোগী সিয়াম, রুবেল, শাহিন ও শাহাদত গত রোববার সকালে পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় তাঁর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগসহ ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোনে জানানো হয়। পরে তিনি মিরপুর থানায় যান।
ছাত্রটির মা বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে গিয়ে তিনি বখাটেদের একের পর এক হামলা ও হুমকি-ধমকির শিকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি মিরপুর, শাহবাগ ও শেরেবাংলা নগর থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মিরপুর থানার (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রটির মায়ের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। মিরপুর বিভাগের উপকমিশনারের নির্দেশ পেলে তিনি মামলা নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।
গত রোববার ডিসি ওই ছাত্রের মায়ের ওপর হামলার সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছিলেন।
থানায় কম মামলা রেকর্ড করার কোনো নির্দেশনা আছে কি না, জানতে চাইলে গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ না করে তাঁকে ফেরত পাঠানোর কারও কোনো সুযোগ নেই।