ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার এক নারী এ ব্যাপারে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী এ অভিযোগ করেন, উপজেলার আটিয়া মাজারে মেলায় গিয়ে আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে সেলিম ওই নারীকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ওই নারী জেলা শহরের একটি বাসায় একাই থাকতেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর সেলিম ও তাঁর বন্ধু শেখ শিপন ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই নারী চিৎকারের চেষ্টা করলে সেলিম ও শিপন তাঁর হাত‍-মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে সেলিম ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং তাঁর কথামতো শিপন মুঠোফোনে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। চলে যাওয়ার সময় তাঁরা হুমকি দেন, ঘটনাটি কাউকে বললে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ধর্ষণের পর সেলিম একটি চাকু নিয়ে ওই নারীকে ভয় দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তখন নারী হাতে আঘাত পান। পরে তিনি টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

১০ সেপ্টেম্বর ওই নারী মামলা করতে টাঙ্গাইল সদর থানায় যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়ায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই নারীর মামলা না নেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, এ রকম কোনো অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি।