রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা, সরকারকে ধিক্কার ফখরুলের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ত্রাণ বিতরণে বাধার সৃষ্টি প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়া ও ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্য ছিল লোক দেখানো।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন সরকার যদি রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আন্তরিক হতো, তাহলে অন্তত বিএনপির ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হতো না। আমি বিএনপির প্রতিনিধিদলের ত্রাণসামগ্রী বিতরণে বাধা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি ধিক্কার দিই, ঘৃণা প্রকাশ করছি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অসহায় রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিতরণকারী দলকে কক্সবাজারের উখিয়া যেতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় রিলিফ টিম ২২টি ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে। তাঁদের উখিয়াতে প্রশাসন যেতে দিচ্ছে না, পুলিশ ট্রাক আটকিয়ে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কক্সবাজারে বিএনপির অফিস পুলিশ ঘিরে রেখেছে। আমাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অফিসে আটকা পড়ে আছেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিএনপির ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা হোক। অনাহারে দিনযাপন করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে বিএনপিকে সুযোগ দেওয়া হোক।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরাও নির্বাচন চাই। তবে নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রথম বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন, চীন ও ভারতের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারত বাংলাদেশের পাশে নেই। তারা মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।