বিদ্যালয় মাঠে গাছের গুঁড়ি, খেলা বন্ধ

ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানায় অবস্থিত কবি জসীম উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আট মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো
ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানায় অবস্থিত কবি জসীম উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আট মাস ধরে ফেলে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো

স্কুলের খেলার মাঠে বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রাখা হয়েছে কেটে ফেলা গাছের অসংখ্য গুঁড়ি। এ কারণে আট মাস ধরে ওই মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানায় অবস্থিত কবি জসীমউদ্‌দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

বদরপুর-সালথা সড়কের তাম্বুলখানা বাজার এলাকায় ১ একর ১৮ শতাংশ জমিতে ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয় কবি জসীমউদ্‌দীন স্কুল। ২০১০ সালে এটির কলেজ শাখা যাত্রা শুরু করে। এ প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখায় শিক্ষার্থী ১ হাজার ৩৩ জন এবং কলেজ শাখায় শতাধিক। শিক্ষক আছেন মোট ২২ জন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য যে মাঠটি রয়েছে, সেটির তিন ভাগের দুই অংশে বিক্ষিপ্তভাবে অসংখ্য গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। মাঠের উত্তর দিকে ফুটবল খেলার জন্য নির্মিত একটি গোলপোস্ট আটকে গেছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বদরপুর-সালথা সড়কটি সম্প্রসারণ উপলক্ষে সড়কের দুই পাশের কেটে ফেলা গাছগুলো এভাবে মাঠে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাতজন ছাত্র অভিযোগ করে বলে, গত জানুয়ারি মাস থেকে গাছের গুঁড়িগুলো স্কুলের খেলার মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখায় তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, জানুয়ারি মাসে ওই গাছের গুঁড়িগুলো রাখার সময় বলা হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু গত আট মাসেও সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর ছেলে ফকির ফারুক হোসেন ১৫ দিনের জন্য এই গাছের গুঁড়িগুলো মাঠে রাখেন গত জানুয়ারি মাসে। কিন্তু বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

এ গাছের অংশগুলো রাখায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমি আশা করি অবিলম্বে গাছের গুঁড়িগুলো মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।’

গাছগুলো দুই দফা হাতবদল করার পর ফকির ফারুক হোসেন কিনেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফকির মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বলে স্কুলের মাঠে এ গাছগুলো রাখতে দিয়েছি। গাছগুলো ১৫ দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও ভালো ক্রেতা না পাওয়ায় সেগুলো বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এগুলোর জন্য শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না—বিষয়টি আমার নলেজে আছে। দ্রুত গাছগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমি চেষ্টা করব।’