লিবিয়ায় জিম্মি করে দেশে অর্থ আদায়, আটক ১

র‍্যাবের হাতে আটক সুমন ছৈয়াল। ছবিটি র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে তোলা। ছবি: অজয় কুণ্ডু
র‍্যাবের হাতে আটক সুমন ছৈয়াল। ছবিটি র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে তোলা। ছবি: অজয় কুণ্ডু

শরীয়তপুর থেকে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য অভিযোগে সুমন ছৈয়াল (৩১) নামের একজনকে আটক করেছে র‍্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজারের নিজ ফোনের দোকান ‘সুমন স্টোর’ থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

র‍্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রাকিবউজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় কর্মরত বেশকিছু শ্রমিককে জিম্মি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করছে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। মুক্তিপণ না দিলে লিবিয়ায় বসে জিম্মিদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করে তার ভিডিওচিত্র ইমো-ভাইবারের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়। এমন ছয়টি পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টাকা লেনদেনের সময় সুমনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে নগদ ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা, তিন হাজার ইউরো, ২৯টি মোবাইল ফোন ও ৫৯টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।

লিবিয়ার জিম্মি জুয়েল ব্যাপারীর মা জেসমিন বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ৬ মাস ধরে লিবিয়াতে জিম্মি। এ পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা দিয়েছি। আরও তিন লাখ টাকা দাবি করে ছেলের করুণ ভিডিওচিত্র ইমোতে পাঠিয়েছে। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।’

মেজর মো. রাকিবউজ্জামান বলেন, লিবিয়ার বন্দিশালার নেতৃত্ব দেন সুমনের বড় সুজন ছৈয়াল (৪৫)। তাঁকে লিবিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে ধরার প্রক্রিয়া চলছে। একটি মোবাইল নম্বরে একসঙ্গে অনেক টাকা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব না হওয়ায় আটক সুমন একাধিক সিম কার্ড ব্যবহার করত। তাই সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। আটক সুমনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হচ্ছে।