সোনালী ব্যাংকে সুড়ঙ্গপথে টাকা চুরি

ব্যাংকের ভল্টে এই সুরঙ্গ দেখা গেছে। পুলিশের ধারণা এটি দিয়েই চোরেরা ব্যাংকে এসে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ছবি: সাইফুল হক মোল্লা।
ব্যাংকের ভল্টে এই সুরঙ্গ দেখা গেছে। পুলিশের ধারণা এটি দিয়েই চোরেরা ব্যাংকে এসে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ছবি: সাইফুল হক মোল্লা।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের রথখলা এলাকায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে বড় অঙ্কের টাকা চুরি গেছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি, চোরেরা সুড়ঙ্গপথে এসে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যাংকে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। পুলিশ বলছে, গতকাল অথবা গত শুক্রবার রাতে সুড়ঙ্গপথে এসে চোরেরা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জ্যেষ্ঠ ক্যাশ কর্মকর্তা মোহসিনুল হক টাকার প্রয়োজনে ব্যাংকের ভল্টে ঢোকেন। সেখানে গিয়ে তিনি মেঝেতে সুড়ঙ্গ দেখতে পান। তিনি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশকে বিষয়টি জানান। তদন্ত করে পুলিশ ব্যাংকের পাশে একটি ভাড়া বাড়ির ঘরের ভেতর সুড়ঙ্গের আরেক প্রান্তের খোঁজ পায়।  সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহানশাহ জানান, ওই ঘরে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।  ওই বাড়ির আরেকটি ঘরে মার্জিয়া আক্তার নামের এক নারী তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। মার্জিয়া আক্তার জানান, তাঁর স্বামী সৌদি আরবে কাজ করেন।

পুলিশ জানায়, সুড়ঙ্গপথটি তৈরি করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লেগেছে। গত শুক্রবার অথবা গতকাল শনিবার রাতের কোনো একসময় চোরেরা ওই সুড়ঙ্গপথে ভল্টে ঢোকে। তারা টাকা নিয়ে  সুড়ঙ্গ দিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।  সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহানশাহ আরও জানান, ব্যাংকের ভল্টে কয়েকটি সিন্দুক ও আলমারি আছে। এসব ভেঙে টাকা চুরি হয়নি। ভল্টের ভেতরে ও বাইরে রাখা টাকা চুরি হয়েছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হুমায়ূন কবীর ভুইঞা জানান, তাঁরা গণনা করে দেখেছেন ১৬ কোটি ৯০ লাখ  টাকা চুরি গেছে। তিনি আরও বলেন, ওই বাড়ি থেকে ব্যাংকটির দূরত্ব প্রায় ১০০ ফুট।

পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবাই তাঁদের নজরে রয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্তের জন্য পুলিশের বিশেষজ্ঞদের আনা হবে।