একদল চায় সেনা, আরেক দল না

সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার আগে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন)। এ ছাড়া নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে এসব দাবি জানায় দল দুটি। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন) ১২টি প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনের কমপক্ষে ছয় মাস আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে তালিকা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনের তিন মাস আগ থেকে এবং নির্বাচনের পর কমপক্ষে এক মাস ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন এক দিনে না করে প্রতিটি বিভাগে আলাদা দিনে নির্বাচন করে এক দিনে ফলাফল প্রকাশ করা, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নির্বাচনের যে কোনো কাজ থেকে দূরে রাখা, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো, প্রবাসীদের ভোটার করে ভোটদানের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে দলটি।

ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই, কালোটাকা-ধর্মের অপব্যবহারমুক্ত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, ধর্মীয় দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়া এবং ধর্মীয় দলের নিবন্ধন বাতিল করা এবং যেসব দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, এমন দলের নিবন্ধন বাতিল করা যাবেন না।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। এ ছাড়া ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি। আজকের সংলাপসহ ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।