অপহরণের দায়ে চারজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) অপহরণের দায়ে চারজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিকাশ দাস (২২), একই গ্রামের বিকাশ মৃধা (২০), ব্রজ মিস্ত্রি (১৮) ও ওয়াসিম কুমার মণ্ডল (২০)। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে ওয়াসিম কুমার মণ্ডল পলাতক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিকাশ দাস ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করে। এতে বিকাশ দাস মেয়েটির ওপর ক্ষিপ্ত হন। ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট রাতে বিকাশ দাসের নেতৃত্বে আসামিরা ওই স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে অপহরণ করেন। এ ঘটনার পরদিন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ইন্দুরকানি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দুরকানি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার আসামি রিপন মাঝি মারা যান। মামলার সাক্ষী শেষে বিচারক চারজনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিকাশ দাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং বিকাশ মৃধা, ব্রজ মিস্ত্রি ও ওয়াসিম কুমার মণ্ডলকে ১০ হাজার করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি বিশেষ পিপি আবদুর রাজ্জাক খান।