শরণার্থী বিষয়ে আইন প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে রিট

শরণার্থী বিষয়ে আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ রোববার রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিটে শরণার্থী বিষয়ে আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। এতে আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পররাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন।

রিট আবেদনকারী তানজিম আল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাশাপাশি সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার দেওয়া রয়েছে। এই বিধানমতে শরণার্থীরা কীভাবে ও কোনো আইনের আশ্রয় নেবে, তা আইন দ্বারা নির্ধারণ না করায় দেশে এ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।

রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, সম্প্রতি কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। পাকিস্তানি বিহারিরাও শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসছে। সরকার জাতিসংঘ সনদ ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রতি সম্মান রেখে মানবিক দিক বিবেচনায় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরণার্থীবিষয়ক কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের শরণার্থীবিষয়ক প্রটোকলে সই করেনি। এই কনভেনশন ও প্রটোকলে স্বাক্ষর না করায় শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করা অনেকটা দুরূহ। এমনকি শরণার্থীসংক্রান্ত দেশে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। এ-সংক্রান্ত আইন না থাকায় ওই বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করা ও তাদের সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের সঙ্গে শরণার্থীদের সম্পর্ক নির্ধারণ, তাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপন এবং শরণার্থী সন্তানদের নাগরিকত্ব বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের নিরাপত্তা, পর্যটনশিল্পের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান ও অভ্যন্তরীণ সার্বিক বিষয় মোকাবিলায় কোনো আইনি কাঠামো না থাকায় এ নিয়ে বিরাট শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয় বলে জানান আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।