বাস মালিক ও শ্রমিক সংঘর্ষে আহত ২০

শরীয়তপুরে বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শরীয়তপুরের সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শরীয়তপুর সদর থানার পুলিশ, শ্রমিক ও মালিক সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনালে বাসের সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে বাস মালিক সমিতির সদস্য নাসির ব্যাপারী ও শ্রমিক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে মালিক পক্ষের কার্যালয়ে শ্রমিক সেলিম ব্যাপারী, মোশারফ তালুকদার, মনির তালুকদার ও সুমন তালুকদারকে মারধর করা হয়। এ খবর শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে তাঁরা মালিক পক্ষের কার্যালয়ে হামলা চালান। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় ২০ জন আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে শ্রমিকদের ছোড়া ইটে পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির মাথায় আঘাত পান। তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু ব্যাপারী দাবি করেন, ‘বাসের সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মালিক সমিতির কার্যালয়ে সভা চলছিল। হঠাৎ শ্রমিকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

শরীয়তপুর বাস ও মিনিবাস শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, সামান্য একটি ঘটনা নিয়ে একজন বাসমালিকের সঙ্গে এক শ্রমিক নেতার তর্ক হয়। এর জের ধরে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা চারজন শ্রমিককে মারধর করেন। তখন শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে যান। পুলিশ ও মালিক সমিতি মিলে শ্রমিকদের মারধর করেছে। এ কারণে শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।’

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন বলেন, বাসের সিরিয়াল নিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের ঝগড়া হয়। বিষয়টি সমঝোতা করার জন্য পুলিশ উদ্যোগ নেয়। এমন সময় শ্রমিকেরা হামলা চালিয়ে বাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।