রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধী থাকতে পারে

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অপরাধীদের অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যেও কিছু কিছু অপরাধী থাকতে পারে। তারা খুব ভালো মানুষ এটা বলা যায় না। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে অস্ত্রও আসতে পারে; ইয়াবাও আসতে পারে। এদের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী গোষ্ঠীগুলো মিলিত হতে পারে।’ 

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের দেওয়া অর্থ ও ত্রাণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। স্থানীয় একটি তারকা হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এর আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে এ যাবৎ যত শরণার্থী সংকট হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের মতো রোহিঙ্গা সংকটে পাশে দাঁড়ানোর নজির আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এটি সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার অন্যান্য দেশে শরণার্থীবিষয়ক যে সংকট, এ সংকটে সবাই একযোগে স্বীকার করেছেন যে শেখ হাসিনা শরণার্থী ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তায় এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে শান্তিতে নোবেল পেয়েও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাষাণচরে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ভাষাণচরে রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে কাজ করছে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের অনুকূলে শরণার্থী ক্যাম্পে ৫০০টি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলের খুঁটি এবং দুই হাজার পরিবারের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল সরবরাহ করা হবে। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে। এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।
এর আগে রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২০ লাখ টাকার চেক, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর দেওয়া নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৪৭৬ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী মন্ত্রী জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার ও আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।