আয়কর সীমার কম হলে বিনা মূল্যে আইনি সেবা

এখন থেকে যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় সরকার–নির্ধারিত আয়কর সীমার নিচে, তাঁরা বিনা মূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন।

আজ রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাক‌ক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (এনএলএসও) পরিচালনা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার, নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তির ক্ষেত্রে তিন লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষেত্রে চার লাখ এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার নিচে বার্ষিক আয়ের ব্যক্তিরা বিনা মূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে বিনা মূল্যে সরকারি আইনি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং অধস্তন আদালতের জন্য বার্ষিক আয়সীমা এক লাখ টাকা ছিল।

সভায় আরও যেসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, তার মধ্যে আছে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তাদের ‘দায়িত্ব ভাতা’ মাসিক এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ, শ্রম আদালতের বিশেষ কমিটি প্রবিধানমালা, ২০১৬ সংশোধন, চৌকি আদালতে লিগ্যাল এইড কমিটির জন্য ১৯টি খসড়া ফরম অনুমোদন এবং জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থার একজন সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব।

সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সহায়–সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে ‘আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে আইনগত সহায়তা আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এ আইনের সফল বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক।

সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরোল হাসানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৬ জন সাব-রেজিস্ট্রারের প্রথম পদায়ন ও ১৮ জন সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি করা হয়েছে। বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের ১৫ অক্টোবর নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

প্রথম পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণের মধ্যে রতন অধিকারীকে কমলকান্দা, নেত্রকোনা; মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে দুর্গাপুর, নেত্রকোনা; পার্থ প্রতীম মুখার্জ্জিকে সখীপুর, সাতক্ষীরা; তিথি রানী মণ্ডলকে বাঘা, রাজশাহী; শহিদুল ইসলামকে কাহারোল, দিনাজপুর; মো. মামুন শিকদারকে পাথরঘাটা, বরগুনা; ইফতেখারুল ইসলামকে ইন্দুরকানী, পিরোজপুর; মো. মকছু মিয়াকে কুমারখালী, কুষ্টিয়া; এস এম শাহেদুল ইসলামকে চিতলমারী, বাগেরহাট; তাজনুভা জান্নাতকে আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; মো. সিরাজুল হককে মদন, নেত্রকোনা; সঞ্জয় বড়ালকে দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়; ধীরাজ সাহাকে সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা; মোহাম্মদ নুরুল হককে বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর; প্রতীম মণ্ডলকে টুনিরহাট, ঠাকুরগাঁও এবং আবদুল্লাহ্ আল মামুনকে লাহিড়ীহাট, ঠাকুরগাঁও পদায়ন করা হয়েছে।

এছাড়া বদলির আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের মধ্যে রিপন চন্দ্র মণ্ডলকে নেত্রকোনার কমলকান্দা থেকে বগুড়ার ধুনট; মো. মোজাম্মেল হক তালুকদারকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া; গোলাম সারোয়াকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ; অঞ্জু দাসকে কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাট; মো. আনোয়ার হোসেনকে বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুর; আবু তাহের মো. মোস্তফাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া; শরীফ তোরাফ হোসেনকে সিরাজগঞ্জ সদর থেকে যশোর সদর; মো. মাসুমকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থেকে বরগুনার আমতলী; মো. ইমরুল হাসানকে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে মেহেরপুরের গাংনী; শংকর কুমার ধরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং; রফিকুল আলমকে যশোরের চৌগাছা থেকে মেহেরপুর সদর; নারায়ণ মণ্ডলকে সাতক্ষীরার সখীপুর থেকে যশোরের চৌগাছা; মো. মনিরুজ্জামানকে কুড়িগ্রাম সদর থেকে নওগাঁ সদর; কার্ত্তিক জোয়ারদারকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীর গলাচিপা; মো. রুহুল কুদ্দুসকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ; মো. আবদুর রশিদ মণ্ডলকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া; শাহাদাৎ হোসেন সরদারকে পাবনার সদর থেকে নরসিংদীর পলাশ এবং মো. ইব্রাহীম আলীকে পাবনা সদর থেকে পঞ্চগড় সদরে বদলি করা হয়েছে।