ভাবিকে বিয়ে করতে ভাইকে খুন!

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রাকিব হোসেন (৩২) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তাঁর স্ত্রী নাইমা সুলতানা ওরফে তিশা ও ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম। ভাবিকে বিয়ে করার জন্য ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাকিবুল। আর এতে তাঁর সহযোগী ছিলেন ভাবি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপারের ভাষ্য, হত্যার পরিকল্পনাসহ সব তথ্য স্বীকার করে রাকিবুল গতকাল বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আমলি বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকালই নাইমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে একই আদালতে নাইমা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপারের দাবি, হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন নাইমা ও রাকিবুল। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চার থেকে পাঁচজন। তাঁদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশের নজরদারিতে আছেন। যেকোনো সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাকিব ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এর মধ্যে চারবার দেশে আসেন। তাঁদের চার বছরের একটি মেয়ে আছে। দুই মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে আবার বাড়িতে আসেন রাকিব। ৫ অক্টোবর রাতে শ্বশুরবাড়ি কাঞ্চনপুর থেকে পাহাড়পুরে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। রাত ১০টা থেকে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা।

খোঁজ না পেয়ে পরের দিন কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাকিবের পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজের দুই দিন পর বাড়ির পাশের কালীগঙ্গা নদীতে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর কুমারখালী থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন রাকিবের বাবা। এই মামলায় এজাহারভুক্ত তিন ব্যক্তি কারাগারে আছেন।