সীমান্ত পেরিয়ে প্রেম, বিয়ে, অতঃপর...

বাংলাদেশের ছেলে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়েছিলেন ভারতে। সেখানকার এক মেয়ের সঙ্গে হয় তাঁর মন দেওয়া-নেওয়া। এরপর দুজনে বিয়ে করে ফেলেন। মেয়েটি বরের সঙ্গে চলে আসেন এ দেশে। কিন্তু শান্তিতে সংসার করা আর হলো না। তাঁদের ভালোবাসায় বাদ সেধেছে পুলিশ। যশোরের কেশবপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ওই গ্রামের বিষ্ণু মণ্ডল (৩০) ২০০০ সালের দিকে অবৈধভাবে ভারতে যান। উত্তর ২৪ পরগনার শবনম পারভিনের (২২) সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এক বছর প্রেমের পর তাঁরা বিয়ে করে বাংলাদেশে চলে আসেন। গত তিন মাস ধরে তাঁরা এখানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন। এখানে শবনমের নাম হয় বান্টি মণ্ডল।

কিন্তু শবনম যে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চলে এসেছেন, তা তাঁর পরিবার জানতে পারে। আবদুস সালাম নামে ঢাকায় তাঁদের এক আত্মীয় থাকেন। তিনি কেশবপুর থানায় এ ঘটনা জানালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গতকাল বুধবার বিকেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

শবনম পারভিন ওরফে বান্টি থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বলেন, কোনো আইন তাঁদের ভালোবাসায় বাধা হতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘আমি বিষ্ণুকে ভালোবাসি। তাঁকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমাকে ভারতে পাঠিয়ে দিলেও আমি আবার বাংলাদেশে চলে আসব।’

অন্যদিকে বিষ্ণুরও একই কথা। একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিষ্ণুর বাবা মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা বউমাকে বের করে ঘরে তুলব।’

শবনম পারভিন ওরফে বান্টি জানিয়েছেন, শ্রীচৈতন্য কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। সেখানে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। আর বিষ্ণু মণ্ডল ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন।

কেশবপুর থানার ওসি এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এ কারণে ১৯৫২ সালের বর্ডার ক্রস আইন অনুযায়ী মামলা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।