আদালতে দুই আসামির আত্মসমর্পণ

বগুড়ায় ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ইয়ামিন হুজাইফা (২০) ও তাঁর বাবা আমিনুর মীর (বাঁয়ে) আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ছবি: প্রথম আলো
বগুড়ায় ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ইয়ামিন হুজাইফা (২০) ও তাঁর বাবা আমিনুর মীর (বাঁয়ে) আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রী রোজিফা আকতার আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করাÍমামলার প্রধান আসামি ইয়ামিন হুজাইফা (২০) এবং তাঁর বাবা আমিনুর মীরকে (৫০) পুলিশ খুঁজে পাচ্ছিল না। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা নিজেরাই আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার আসামি এই বাবা-ছেলেকে খুঁজছিল পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইয়ামিন ও তাঁর বাবা আমিনুর মীর একসঙ্গে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪-এ আত্মসমর্পণ করেন। এরপর জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে দুই মামলায় হুজাইফা এবং তাঁর বাবাকে পৃথকভাবে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বগুড়া আদালতের পরিদর্শক শাজাহান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ অক্টোবর আদালত রিমান্ড আবেদন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিয়ানগর গ্রামের গোলাম রব্বানীর কিশোরী কন্যা রোজিফা আকতার স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। রোজিফার বাবার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে বখাটে হুজাইফা যাতায়াতের পথে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। শেষে গত রোববার রোজিফা নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় বখাটে হুজাইফাকে প্রধান আসামি করে বাবা গোলাম রব্বানী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামিদের ধরতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হুজাইফা, আমিনুর মীরসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করে। এরপর থেকেই হুজাইফা ও তাঁর বাবাকে খুঁজছিল পুলিশ।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, হুজাইফা ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করার জন্য গত কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। দিশেহারা হয়ে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।