জামায়াতের ঢিলেঢালা হরতাল ৬০ নেতা-কর্মী আটক

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে দলটির ডাকা হরতালে সাড়া মেলেনি। যানবাহন চলাচল করেছে; দোকানপাট, অফিস আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। দু-একটি স্থানে কিছু বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়া জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। মাঠে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের দেখা না মিললেও কোনো কোনো এলাকায় সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালে তাদের শরিক বিএনপি গতকাল চার ঘণ্টা পর সমর্থন দিলেও হরতালে তাদের কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি।

গতকাল এবং হরতাল সামনে রেখে এর আগের দিন অন্তত সাতটি জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের ৬০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিভিন্ন মামলায় তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদকপ্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

সিলেটে খুব সকালে বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের নেতা–কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন। যানবাহন চলাচল এবং জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।

বরিশালে মিছিলের প্রস্তুতিকালে রূপাতলী থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

ঝালকাঠিতে পৌর জামায়াতের আমির আবদুল হাইকে বুধবার রাতে আটক করেছে সদর থানা-পুলিশ।

নেত্রকোনায় সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. নজরুল ইসলামসহ ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেল থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত তাঁদের আটক করা হয়।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কয়ড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নুর ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামানকে গতকাল আটক করেছে পুলিশ।

কুমিল্লার লাকসাম থেকে জামায়াত-শিবিরের ছয়জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশ বুধবার রাতে জামায়াতের দুই নেতা এবং একজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।