স্বাদুপানির মাছ চাষে নীরব বিপ্লব

স্বাদুপানির মাছ চাষ দেশের জিডিপিতেও অবদান রাখছে। ছবি: প্রথম আলো
স্বাদুপানির মাছ চাষ দেশের জিডিপিতেও অবদান রাখছে। ছবি: প্রথম আলো

একসময় বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। কারণ বাংলাদেশ নামের এই ভূখণ্ডে মাছকেন্দ্রিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো। নদী ও সমুদ্র থেকে পলি পড়ে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ মাছ ধরা ও ধান চাষকে তাদের প্রাথমিক পেশা হিসেবে বেছে নেয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মানুষ নদী–নালা, খাল–বিল, পুকুর–জলাভূমি থেকে মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা পূরণ করে। ওই মাছ অনেকে হাটে-বাজারে বিক্রিও করত। বাংলা অঞ্চলে মাছ ধরা শুরু হওয়ার সূচনালগ্নে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নমঃশূদ্র, মাঝি, জাইলা ও মালো গোত্রের মানুষেরা মাছ ধরত। যুগের পরিক্রমায় এখন প্রায় সব ধর্ম-গোত্রের লোকেরাই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। এমনকি সমাজের ধনিক শ্রেণির মানুষেরাও শখ করে মাছ ধরে থাকেন।
তবে ষাটের দশক থেকে মাছের প্রাকৃতিক উৎসস্থল যে নদী-নালা, খাল-বিল, সেগুলোর অবস্থার অবনতি হতে থাকল। প্রাকৃতিক এসব জলাশয় পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় এবং সড়ক-সেতু-কালভার্ট ও বাঁধ নির্মাণের ফলে পানির প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে থাকল। ফলে সেখানে মাছের পরিমাণ কমতে থাকল। আশির দশক থেকে দেশে নদী–তীরবর্তী এলাকায় শিল্পকারখানা বেড়ে যাওয়ার ফলে পানিদূষণ বাড়তে থাকল। ফলে নদী-নালা, খাল-বিলগুলো মাছশূন্য হতে থাকল। জোগান কমে যাওয়ায় স্বাদুপানির প্রাকৃতিক উৎসের মাছের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকল। ফলে তা সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল।
এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে থাকেন দেশের মৎস্যবিজ্ঞানীরা। আধুনিক যুগের মাছ চাষের সূচনা হয়েছে সত্তরের দশক থেকে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মৎস্য বিভাগের পরিচালক ড. নাজির আহম্মেদ এ দেশে পুকুর ও জলাভূমিতে বিজ্ঞানসম্মত মৎস্য চাষের আনুষ্ঠানিক প্রবর্তন করেন। ড. নাজির আহম্মেদ চাকরিজীবনে নিবিড়ভাবে এই খাতের উন্নয়নে কাজ করেন। বিশেষত পুকুর ও জলাশয়ে রুই, কাতলাজাতীয় মাছের মিশ্র চাষ, পিটুইটারি ইনজেকশনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন করে মাছের পোনা উৎপাদন—এই সময় থেকেই শুরু হয়।
১৯৬৭ সালে প্রখ্যাত মৎস্যবিজ্ঞানী ড. এ কে এম আমীনুল হক তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমানের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলার এই অপার সম্ভাবনাময় মৎস্যসম্পদের সর্বোচ্চ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল সৃষ্টি করা। বর্তমানে ১০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিভাগ খোলা হয়েছে এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৃষ্ট মৎস্য গ্র্যাজুয়েটরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও গবেষণা সংস্থায় কর্মরত থেকে মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়ন ও মাঠপর্যায়ে হস্তান্তর, চাষি প্রশিক্ষণ, লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি প্রদর্শন, প্রদর্শনী খামার পরিচালনা প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে মাছ চাষের এক নীরব বিপ্লব সাধন করেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য গবেষণা সংস্থা ও গ্রামীণ মৎস্য উদ্যোক্তার নিরলস পরিশ্রমে দেশের অভ্যন্তরীণ মৎস্য সেক্টর আজ সমগ্র বিশ্বে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। দেশের এক হাজারেরও বেশি মৎস্য হ্যাচারি (সরকারি ১৩৬ ও ব্যক্তিগত ৮৬৮) মৎস্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশে বর্তমানে বদ্ধ জলাশয়ের পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে রয়েছে পুকুর, জলাশয়, বাঁওড়, চিংড়িঘের প্রভৃতি। এসব জলাশয়ে রুইজাতীয় মাছের মিশ্র চাষ, তেলাপিয়া, পাঙাশ, কৈ, গুলশা, মাগুর, শিং, গলদা চিংড়ি প্রভৃতির চাষ, খাঁচা ও পেনে মাছ চাষ, কাঁকড়া চাষ, কার্পজাতীয় মাছের মোটাতাজাকরণ, বিল ও জলমহালে মাছ চাষ, ছোট মাছ চাষ, ধানখেতে মাছ চাষ, সবজি ও মাছের সমন্বিত চাষ প্রভৃতির মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ টন মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সামগ্রিক মাছের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ প্রজাতির দেশি ও ১০ প্রজাতির বিদেশি মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। দেশীয় প্রজাতির আরও প্রায় ১০-১৫টি মাছকে চাষের আওতায় আনা সম্ভব। আমাদের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে প্রায় ২৯৩ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। দেশের মানুষ সব সময় দেশি প্রজাতির মাছ খেতে বেশি আগ্রহী। দেশি মাছগুলো স্বাদ ও পুষ্টিতে যেকোনো বিদেশি মাছের চেয়ে ভালো। যেমন বলা যেতে পারে ১ কেজি মলা মাছে প্রায় ১০০ কেজি সিলভার কার্প মাছের সমান ভিটামিন এ রয়েছে। দেশি ছোট মাছগুলো বিভিন্ন অতি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের যেমন ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ও লৌহর উত্তম উৎস। রক্তশূন্যতা দূরীকরণে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে, মেধা বিকাশে, অস্থি গঠনে ও দৃঢ়ায়নে, বিশেষ করে শিশু, দুগ্ধদাত্রী ও গর্ভবতী মা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও সেরে উঠছে এমন রোগীদের জন্য দেশি ছোট মাছ খুবই উপকারী ও ফলদায়ক । তাই মাছ চাষে দেশীয় মাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিদেশ থেকে মাছ আনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। আরও বেশি করে দেশি মাছগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে।
মাছ চাষের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রাকৃতিক মাছের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া দরকার। অতীতে বাংলার নদী-নালা, খাল-বিল, প্লাবনভূমি দেশি মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ছিল। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণ, অতি আহরণ ও জলবায়ু এবং পারিবেশিক বিপর্যয়ের কারণে বর্তমানে বেশির ভাগ স্বাদুপানির মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। নদীর মাছের জীববৈচিত্র্য হ্রাসের প্রধান কারণ হচ্ছে উজান থেকে ক্রমহ্রাসমান পানির প্রবাহ। নদী ভরাট, কৃষিকাজে পানির ব্যবহার, দূষণ, অতি আহরণ প্রভৃতি কারণে প্রাকৃতিক জলাশয়ের মৎস বৈচিত্র্য আজ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। উজানে বাঁধ এবং কম বৃষ্টিপাত অনেক মূল্যবান দেশি মাছের জীববৈচিত্র্যকে চরম হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। অনেক মাছের মৌসুমি প্রজননের জন্য মাইগ্রেটরি পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
মাছের প্রজাতির সংখ্যা ও সামগ্রিক উৎপাদন কমে গেলেও জেলে ও জালের সংখ্যা কিন্তু কমেনি। ফলে মাছের অতি আহরণ ও ছোট মাছ, ডিম, পোনা আহরণ এখনো বন্ধ হয়নি। নদীর দুই পাশের বনাঞ্চল নির্বিচারে ধ্বংসের কারণে নদী ভরাট ত্বরান্বিত হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে নদীপাড়ের এবং নদীকেন্দ্রিক মানুষের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও চারণভূমি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নদীর মহামূল্যবান মাছ যেমন মহাশোল, কালিবাউশ, রাঙা, রুই, কুরশা, বাইটকা, গুতুম, পুইয়া, জইয়া, কোকসা, বাঘাইড়, পাথরচাটা, বউ, চ্যাকা, কাবাসি ট্যাংরা, ঢেলা, বাচা, গাংট্যাংরা, দেবারি, কুটাকান্টি, ঘাগলা, বালিতোরা, ভোল, চেনুয়া, গুইজ্জা আইড় প্রভৃতি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। এর মাঝে অনেকগুলো ইতিমধ্যে বিলুপ্তও হয়ে গেছে।
সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাদুপানির মাছের পরিবেশ উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। অপূর্ব বর্ণবৈচিত্র্য ও স্বাদের স্বাদুপানির মাছগুলোকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য দরকার মৎস্য বিভাগ, গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, শিক্ষক, গবেষক, জেলে, চাষি, মৎস্য বিক্রেতা ও সাধারণ জনগণের সম্মিলিত প্রয়াস। দেশীয় স্বাদুপানির মাছ রক্ষার জন্য মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নদীপাড়ের পাহাড় ও বন ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে। মাছের বাসস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা দরকার যেমন: মৎস্যবান্ধব স্থাপনা, নদী খনন, মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, ক্ষতিকর বাঁধ অপসারণ প্রভৃতি উদ্যোগ নিতে হবে। মৎস্য অতি আহরণ ও ডিম-পোনা ধরা বন্ধ করতে হবে। মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম মাছ ধরা বন্ধ করা, ক্ষতিকর জালের ব্যবহার বন্ধ করা ও কুয়া-কাঠা দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। নদী ও প্লাবনভূমির পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে বাঁচানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, দাতাগোষ্ঠী, নীতিনির্ধারক, শিক্ষক, গবেষক, জেলে, চাষি, সাধারণ জনগণ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশের স্বাদুপানির মূল্যবান মৎস্যসম্পদ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বিধানে মৎস্য খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সামগ্রিক জিডিপির ৩.৬১ শতাংশ ও কৃষিজ জিডিপির প্রায় এক–চতুর্থাংশ (২৪.৪১ শতাংশ) আসে মৎস্য খাত থেকে। বদ্ধ জলাশয়ে মাছের চাষ ক্রমান্বয়ে নিবিড়করণের ফলে ২০১৫-১৬ সালে মাছের মোট উৎপাদনের (৩৮.৭৮ লাখ টন) প্রায় ৫৭ শতাংশই এই খাত থেকে এসেছে। দেশে বর্তমানে মৎস্য ও চিংড়িচাষির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ। বিগত এক দশকের মৎস্য উৎপাদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এ খাতে প্রায় স্থিতিশীলভাবে বার্ষিক গড় ৫.২৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ভূমির ব্যবহার কমানোর জন্য মাছের উৎপাদনের হার বাড়াতে হবে। বর্তমানে আমাদের বদ্ধ জলাশয় হেক্টরপ্রতি মাছের উৎপাদন মাত্র ২.৭৭ টন। আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রয়োগ ও উন্নত নিবিড় চাষের মাধ্যমে সহজেই এই উৎপাদনকে কমপক্ষে দ্বিগুণ করা সম্ভব। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আমাদের মৎস্য চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা—তাদের জীবনমান, আর্থসামাজিক অবস্থা, লাভ–ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অনেক চাষিই আজকাল মাছ চাষ করে মাছের ভালো দাম পান না, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন। মাছের ভালো বাজারমূল্য পাওয়ার জন্য দেশে উৎপাদিত মাছের জন্য বিদেশি খাবার খুঁজে বের করতে হবে। এ জন্য মাছের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি গুণগত মানসম্পন্ন মাছ উৎপাদন করতে হবে এবং বিভিন্ন মৎস্যজাত পণ্য উদ্ভাবন করতে হবে।
প্রাকৃতিক জলাশয়ে স্বাদুপানির মাছের উন্নত ও টেকসই ব্যবস্থাপনা ও মৎস্য চাষের ব্যাপক উন্নয়নই পারে দেশকে রুপালি বিপ্লবের কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছে দিতে। যে বিপ্লব তৈরি করবে একটি সুস্থ–সবল, মেধাবী, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি—এই হোক সবার ঐকান্তিক কামনা।

স্বাদুপানির মাছ

অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে প্রায় ২৯৩ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়

যত প্রজাতির মাছ চাষ: দেশি প্রায় ১৫ প্রজাতি, বিদেশি ১০ প্রজাতি

মাছের হ্যাচারি: সরকারি ১৩৬ ও ব্যক্তিগত ৮৬৮

জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান: সামগ্রিক জিডিপির ৩.৬১ শতাংশ ও কৃষিজ জিডিপির ২৪.৪১ শতাংশ

মৎস্য ও চিংড়িচাষির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ

ড. মোস্তফা এ আর হোসেন: অধ্যাপক, ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিকস বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।