হত্যার কথা স্বীকার করে বন্ধুর জবানবন্দি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাত্রলীগ কর্মী আজমীর হোসেনকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর বন্ধু রাসেল মিয়া গত শুক্রবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন।

রাসেল মিয়া কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার ডালপাড় গ্রামের রবি ভূঁইয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জেলা কারাগারে আছেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার আজমীর হোসেন ওরফে শাওন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি কসবা টি. আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ বাসস্ট্যান্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে কয়েকজন একটি মাইক্রোবাসে আজমীরকে তুলে নেয়। পরদিন তাঁর হাত-পা বাঁধা গুলিবিদ্ধ লাশ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সংচাইল এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই রাসেলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন আজমীরের বাবা। তখন মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কুমিল্লার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাসেলকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে তাঁকে কুমিল্লা বিচারিক হাকিমের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লা ডিবির উপপরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ বলেন, রাসেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, একটি চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা নিয়ে আজমীরের সঙ্গে তাঁর (রাসেল) দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে লোকজনের সামনেই আজমীর তাঁকে মারধর করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পানিয়ারূপ বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। মাইক্রোবাসে তুলেই তাঁরা তাঁর হাত-পা এবং চোখ বেঁধে ফেলেন। পরে কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে আরও তিনজন ওঠেন। তাঁরা ছয়জন আজমীরকে গুলি করে হত্যার পর লাশ দেবীদ্বার উপজেলার সংচাইল এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দেন।