দেড় কেজি ওজনের টাকি!

এত বড় টাকি মাছ। ছবি: প্রথম আলো
এত বড় টাকি মাছ। ছবি: প্রথম আলো

চার-চারটি মাছ। দেখতে টাকি মাছের মতোই। একেকটির ওজন দেড় কেজি। এত বড় টাকি মাছ দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, দেখে টাকি মনে হলেও এটি শোল বা গজার মাছের শংকর হতে পারে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার প্রধান বাজারে আজ শুক্রবার চারটি বড় টাকি মাছের দেখা মেলে। মাছ বিক্রেতা জাহিদ সরদার চারটি বড় টাকিসহ কয়েকটি ছোট মাছ মিলে ৩ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে নেন।

জাহিদ সরদারের ভাষ্য, খুব সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মৈশালা বিল থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন স্থানীয় এক মাছ চাষি। জাহিদ সরদার ৩ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে মাছগুলো কিনে নেন। একেকটি বড় টাকির দাম কেজি প্রতি দাম হাঁকেন ৭০০ টাকা। পরে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।

জাহিদ মৈশালা বিলের ওই মাছ বিক্রেতার বরাত দিয়ে জানান, এগুলো চাষের মাছ না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, অনেক দিন ধরে ওই বিলেই মাছগুলো ছিল, ছোট মাছ খেয়ে এত বড় হয়েছে। একেকটি টাকি মাছের ওজন এক কেজি ৩৫০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৫০০ গ্রাম।

এত বড় টাকি মাছ। ছবি: প্রথম আলো
এত বড় টাকি মাছ। ছবি: প্রথম আলো

গোয়ালন্দ বাজার বই বিতান লাইব্রেরির কর্ণধার মো. শাহজাহান সরদার একটি টাকি মাছ কিনে নেন। বলেন, এত বড় টাকি মাছের দেখা সহজে মেলে না। তাই ৫০০ টাকা কেজি দরে তিনি একটি এক কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের মাছ কেনেন। বলেন, ‘শখের তোলা ৮০ টাকা! তাই একটি মাছ কিনে নিলাম।’

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদের ভাষ্য, দেশীয় প্রজাতির এত বড় টাকি মাছের দেখা মেলে না। এমন হতে পারে, বিলে দীর্ঘদিন ধরে এই মাছ ছিল, সহজে ধরা পড়েনি। ছোট মাছ খেয়ে এত বড় হতে পারে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মজিনুর রহমান দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টাকি মাছ এত বড় হয় না। সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম হতে পারে। এত বেশি ওজনের টাকির কথা শোনেনি। মাছের ছবিটি দেখার পর বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটা অরিজিনাল টাকি মাছ। এত বড় টাকি আমি জীবনেও দেখিনি। এমন হতে পারে, শোল বা গজার মাছের সঙ্গে ক্রস হয়েছে। আরও খোঁজখবর নিতে হবে।