শেখ হাসিনা কি আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন?

খালেদা জিয়ার আদালতে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার মামলা নিষ্পত্তি আদালতের ব্যাপার। তবে বেগম জিয়া গতকাল আদালতে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আপনার কাছে শেখ হাসিনা ক্ষমা চাইবেন কেন? শেখ হাসিনা কি আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন? শেখ হাসিনা কখনোই কারও কাছে মাথা নত করেন নাই। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে কারা ছিল বাংলার মানুষ তা জানে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণ ও নিজের বিবেক ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করেন না।’

আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে আদালতে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিহিংসামূলক বৈরী আচরণ সত্ত্বেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাঁর প্রতি প্রতিহিংসাপ্রবণ আচরণ করবেন না বলেও জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে ও শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে। এ কারণে আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনার সরকারকে আনতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার বলেন সহায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন মামার বাড়ির আবদার নয়। বিএনপি আবোলতাবোল বলে। অন্যান্য দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী দেশের চলমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। এ সরকার সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। যে ছেলেটি বুকে-পিঠে “স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক” স্লোগান ধারণ করে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ওই দিন নূর হোসেন ছিল তিন জোটের রূপরেখার সৈনিক, তিন জোটের সম্পদ। কিন্তু এখন বিএনপি দিবসটি পর্যন্ত পালন করে না। তখন ছিল নূর হোসেন সব রাজনৈতিক দলের সম্পদ। এখন নূর হোসেন শুধু আওয়ামী লীগের। এটাই হচ্ছে তাদের ইতিহাস।’

পথসভা শেষে জামালপুর-মাদারগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে তিনটি সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী।