ঝরনা দেখতে গিয়ে ফেরা হলো না শাহাদাতের

বন্ধুদের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করে চট্টগ্রাম নগর থেকে মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে এসেছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। ২০ বছরের টগবগে এ তরুণ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দুপুরে ঝরনায় নামতে গিয়ে পা পিছলে খাদে পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনার তিন ঘণ্টা পর তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল শুক্রবার উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নাপিত্তা ছড়া ঝরনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহাদাতের বাবার নাম মতিউর রহমান। তাঁর বাড়ি ফেনী সদরের শর্ষাদি গ্রামে হলেও পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকায় তিনি থাকতেন। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়তেন তিনি।

নাপিত্তা ছড়া ঝরনা দেখতে আসা শাহাদাৎ হোসেনের সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. সিফাত জানান, শুক্রবার সকালে তাঁরা ছয় বন্ধু মিলে ঝরনা দেখতে আসেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে শাহাদাৎ ঝরনার পাশের একটি খাদে পা পিছলে পড়ে যান। সাঁতার না জানায় তিনি গভীর পানিতে তলিয়ে যান। তাঁরা বন্ধুরা চেষ্টা করেও শাহাদাৎকে উদ্ধার করতে পারেন নি। পরে স্থানীয় থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পরে খবর দেওয়া হলে চট্টগ্রাম নগর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আসে। প্রায় ১০ মিনিট চেষ্টার পর ডুবুরি দলে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে। নিহত ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের লিডার এস এম আশরাফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু খাদের গভীরতা বেশি থাকায় তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ডুবুরি দল প্রায় ৩০ ফুট গভীর থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।