হজে বেসরকারি কোটায় প্রাক-নিবন্ধন শেষ

প্রথম আলো ফাইল ছবি।
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

২০১৮ সালের হজে বেসরকারি কোটায় প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এখন শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ-২) স্বাক্ষরিত জনস্বার্থে প্রকাশিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ জন। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৭৩ হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের যেসব সেবা দেওয়া হয়, এগুলো হলো:

১. যথাসময়ে ভিসা ও বিমান টিকিট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা।
২. নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গমন, সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ও মদিনা শরিফে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের ব্যবস্থাসহ যথাসময়ে মদিনায় গমন।
৩. মিনায় জামারার (পাথর নিক্ষেপের স্থান) নিকটবর্তী স্থান ও আরাফায় মসজিদে নামিরার (যে মসজিদ থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়) অতি নিকটবর্তী স্থানে তাঁবুতে অবস্থান।
৪. মেট্রোরেল বা উন্নত মানের বাসে মিনা, আরাফাহ, মুজদালিফায় যাতায়াতসহ প্রশিক্ষিত গাইডের অধীনে হজ পালনে সহায়তা প্রদান।
৫. এই প্যাকেজে হজযাত্রীদের মসজিদুল হারাম থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ মিটারের মধ্যে, বি-প্যাকেজের হজযাত্রীদের ১০০০ থেকে ২০০০ মিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মসজিদে নববীর নিকটবর্তী উন্নত মানের হোটেল বা বাড়িতে অবস্থানের ব্যবস্থা।
৬. মক্কা ও মদিনায় এক হোটেল বা বাড়িতে অবস্থানের সুযোগ।
৭. অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাসংবলিত সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় চিকিৎসাসেবা প্রদান।
৮. হজের পুস্তিকা, গাইড, নির্দেশিকা, লিফলেট ও অন্যান্য সামগ্রী বিনা মূল্যে বিতরণ।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর বাকি ১ লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন। এ ক্ষেত্রে কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীরা ২০১৯ সালের হজের জন্য অপেক্ষমাণ থাকবেন। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ২০ আগস্ট পবিত্র হজ হতে পারে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি ও মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদনের পর প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মূল নিবন্ধন শুরু হবে।