চিঠিটি নিছক দাপ্তরিক যোগাযোগ

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে দেওয়া চিঠির বৈধতা প্রশ্নে আজ মঙ্গলবার রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে আপিল বিভাগের প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে দেওয়া চিঠিটি নিছক দাপ্তরিক যোগাযোগ বলে তা সুপ্রিম কোর্টের মতামত বলে বিবেচিত হতে পারে না। এটিসহ সাত দফা পর্যবেক্ষণ দিয়ে চিঠির বৈধতা প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ওই চিঠির মাধ্যমে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফৌজদারি কার্যক্রম থেকে দায়মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু একমাত্র রাষ্ট্রপতি ছাড়া কেউ এ ধরনের দায়মুক্তি পেতে পারেন না, তা-ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বকালীন সময়ে।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীন সম্পর্কে দুদকের অনুসন্ধানপ্রক্রিয়া আদৌ সন্তোষজনক নয়। সাধারণ কারণ, দীর্ঘ সাত বছরেও ওই প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত বা অনুসন্ধান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বা এজেন্সির বাড়তি সতর্কতা ও তদারকি থাকা উচিত। এটি বিবেচনায় নেওয়া উচিত এর সঙ্গে বিচার বিভাগের মর্যাদার পাশাপাশি বিচারের মান, জনগণের আস্থা এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেটি জড়িত থাকে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১০ সালে নোটিশ পাঠায় দুদক। দুদক সূত্র জানায়, জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে আয়ের সঙ্গে অর্জিত সম্পদ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।