ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রদল কর্মী!

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত এবং ছাত্রদল থেকে আসা নেতারা স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, রাজনীতিমুক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৯ অক্টোবর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতি করা হয় সজীব তালুকদারকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাইদুর রহমানকে। কমিটি গঠনের পর থেকে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরে আজ পদবঞ্চিতরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সাইদুরের নোটারি পাবলিকের কাছে বিয়ের অ্যাফিডেভিটের কপি সরবরাহ করেন। অ্যাফিডেভিটে দেখা যায়, সাইদুর ২০১৩ সালের ২০ মে টাঙ্গাইল নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন।


নবগঠিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব মোল্লার বিরুদ্ধে পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, তিনি টাঙ্গাইল শহরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি নির্বাচনবিরোধী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে কটূক্তি করে বিভিন্ন লেখা তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করতেন। এর ‘স্ক্রিন শট’ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে থেকে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে সমাবেশ করে। এতে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে নুরুন্নবী হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, গালিব আহমেদ, মানিক শীল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে নুরুন্নবী হোসেন জানান, বিবাহিত ও ছাত্রদল থেকে আসা ব্যক্তিরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে। তাঁদের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। এঁদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবিতে এই মিছিল ও সমাবেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এ বিষয় নিয়ে যাতে কোনো অঘটন না ঘটে, সে জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।