আগে নিজেরা শুদ্ধ হন, বিএনপিকে কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগে নিজেরা (বিএনপি) শুদ্ধ হন, তারপর অন্যকে শুদ্ধ হওয়ার জন্য বলুন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
গত রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে ‘শুদ্ধ বানানোর’ কথা বলেন। এ কথার প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ করবেন। খালেদা জিয়াকে সবিনয়ে বলি, লুটপাট, খুন, আগুন-সন্ত্রাসের যে ইতিহাস আপনাদের পাপে পাপে জমে গেছে, এটা ধৌত করবে এমন শক্তি নেই।’ এ সময় তিনি একটি শ্লোক শোনান।
কাদের বলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) থেকে আমরা ভালো আছি। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে, একেবারে শতভাগ সঠিক আছি তা বলছি না। কিন্তু আপনারা তো শতভাগের কাছাকাছি অশুদ্ধ।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ ‘অশনিসংকেত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সাংবাদিকেরা এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অশনিসংকেত বিএনপির জন্যই অপেক্ষা করছে। এভাবে নেতিবাচক রাজনীতি তাদের আঁকড়ে ধরেছে। নির্বাচনে না এলে অশনিসংকেত তাদের জন্যই অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘মোশাররফ সাহেব যে বলেছেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, এটা সঠিক নয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন ১৫৩ জন। এটাও জানেন না, বাদ দিলাম। আসেন চ্যালেঞ্জ করুন। এখানে আইনের কী সমস্যা, গণতন্ত্রের কী সমস্যা ও নির্বাচনের কী সমস্যা?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এল না। অনেককে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করল। এর দোষ কি গণতন্ত্রের, দোষ কি নির্বাচনের? তিনি বলেন, ‘নির্বাচনেরও কোনো দোষ নেই, গণতন্ত্রেরও কোনো দোষ নেই, বৈধতারও কোনো সংকট এখানে নেই। এটা চ্যালেঞ্জ করি, বৈধতার কোনো সংকট এখানে নেই।’

বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা দিলে তারা খুশি, এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তো মনে হয় আদালতের একটি রায় দিয়ে দেওয়া উচিত, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন কমিশনকে একটি ম্যান্ডেট দেওয়া উচিত—বিএনপিকে নির্বাচনে জেতাতে হবে। এ রকম একটি রায় নির্বাচন কমিশনের ওপর আদালতের দেওয়া উচিত।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শুনে আমরা স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলাম। আজকে জিয়াউর রহমান কবরে শুয়ে শুয়ে ছটফট করছেন, যখন শোনেন তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।’

সমাবেশে শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।