ইলিশ রক্ষায় জেল-জরিমানার সংখ্যা বেড়েছে

মা ইলিশ সংরক্ষণে চলতি বছরে মৎস্য অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানের পরিস্থিতি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
মা ইলিশ সংরক্ষণে চলতি বছরে মৎস্য অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানের পরিস্থিতি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

মা ইলিশ রক্ষায় পরিচালিত অভিযানে এ বছর ২ হাজার ৩৮৯ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে ৬২ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে এই অভিযানে ৫২ লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১ হাজার ১৫৬ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর রমনায় মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ এসব তথ্য জানান। মা ইলিশ সংরক্ষণে চলতি বছরে অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানের পরিস্থিতি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা ইলিশ ধরেছে, তাদের ধরতে অভিযানও চালানো হয়। এ বছর ১৩ হাজার ৭৬২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। আর গত বছর অভিযানের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৫৩০টি।

অভিযান সম্পর্কে সৈয়দ আরিফ আজাদ জানান, ইলিশ রক্ষার জন্য দুই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় পাঁচটি অভয়াশ্রমসহ সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়।

সৈয়দ আরিফ আজাদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায় অত্যন্ত দরিদ্র। যখন জাটকা ও ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকে, তখন তাদের জীবিকা নির্বাহ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই জন্য জেলেদের প্রতিবছরের মতো চাল বিতরণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ বছর ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২টি জেলে পরিবারের মধ্যে ৭ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। গত ১২ অক্টোবর থেকে ২৫টি জেলার ১১২টি উপজেলার এই জেলে পরিবারগুলো এই সহায়তা পায়।

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রধান মাসুদ হোসেন খান, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস, ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকোফিশ বাংলাদেশ প্রকল্পের দলনেতা মো. আবদুল ওয়াহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।