প্রতিশোধ নিতেই নাসিমকে হত্যা

আহমেদ এমাদ উদ্দিন নাসিম
আহমেদ এমাদ উদ্দিন নাসিম

রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় বিপিএলে বাজি ধরা নিয়ে বিতর্কের জেরে প্রতিশোধ নিতেই নাসিমকে হত্যা করা হয়। আজ বুধবার ভোরে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ শিকদার এ কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারের সময় নাসিম হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।

৫ নভেম্বর বাড্ডায় একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বাজি ধরাকে কেন্দ্র করে রমজান আলী, আসিফ শিকদার, রশিদ, শহীদুল ও রফিক নামে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আহমেদ এমাদ উদ্দিন নাসিমের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসিফকে চড় মারেন তিনি। এর প্রতিশোধ নিতে ৬ নভেম্বর সকালে নাসিমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আসিফ, রমজান, রশিদসহ অন্যরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর নাসিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নাসিমের ভাই ফাহিম আহমেদ অভিযোগ করেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়ার আসর বসাতে বাধা দেন নাসিম। এ নিয়ে রশিদের সঙ্গে নাসিমের বিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজন ৬ নভেম্বর বিকেলে এই বিরোধের মীমাংসা করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ওই দিন সকাল নয়টার দিকে রশিদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা নাসিমকে ছুরিকাঘাত করেন। নাসিম মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনায় নাসিমের বাবা আলী আহমেদ সাইফুদ্দীন বাড্ডা থানায় মামলা করেন। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসিফের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে আজ বুধবার ভোরে কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বাড্ডা থানার পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ৫ নভেম্বর রাতে প্রতিশোধ নিতে নাসিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরদিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পোস্ট অফিসের গলির দোকানে যান নাসিম। এ সময় তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন আসিফ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কামরুল হাসান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসিফের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বাড্ডা এলাকায় বাবা সবুর শিকদারের সঙ্গে থাকতেন আসিফ। তবে একসময় পড়াশোনা ছেড়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) মেরামতের কাজ শুরু করেন। আসিফ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।