নিয়মিত সম্মেলন হলে ছাত্রলীগে 'জ্যাম' থাকত না

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুই বছর পর ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে আজকের নেতৃত্বে যে ‘ট্রাফিক জ্যাম’, এটা থাকত না। আরও নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসত। এ জন্য সময়মতো সম্মেলন করতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগের নতুন সাংগঠনিক জেলা ঘোষণার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ অনেক বড় জেলা শাখা। কোথায় কেরানীগঞ্জ আর কোথায় ধামরাই? দুজন নেতার পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। তাই এটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করে কমিটি দেওয়া হবে। সে জন্য ছাত্রলীগের নেওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও গত কয়েকটি সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে চার থেকে পাঁচ বছর পর। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ হলেও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি।

ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন। ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার সংগঠন। এই ছাত্রলীগে ভাগাভাগি চলবে না। যোগ্যরাই হবে এই সংগঠনের নেতা। তিনি বলেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের নেতাদের দায় আওয়ামী লীগ নেবে। গুটি কয়েক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বদনামের কারণে গোটা ছাত্রলীগের বদনাম হতে পারে না। গুটি কয়েকের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ সরকার নিতে পারে না। তারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী।

দলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের মাত্র এক বছর বাকি। অনুপ্রবেশকারীদের দলে থাকার দরকার নেই। চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক শক্তির ছাত্রলীগে কোনো প্রয়োজন নেই। অনুপ্রবেশকারীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

এ সময় বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কী চায় তারা নিজেরাও জানে না। একবার বলে সহায়ক সরকার, একবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আবার কখনো বলে নির্দলীয় সরকার। আসলে তারা কী চায়, তারা জানে না। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে বিএনপি সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচন হবে না।

ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল নবী ইমুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।