পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়া প্রেমের কারণে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মজনু মিয়া। তাঁর বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে। গত বছরের ১৪ অক্টোবর স্ত্রী ফাহিমাকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।

নিজের স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামি মজনু।

জবানবন্দিতে বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডিতে এবি ব্যাংকের দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন মজনু মিয়া। ২০১৫ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর এলাকার মেয়ে ফাহিমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাহিমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটি স্বাভাভিক ছিল না। এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। গত বছর ঈদের সময় ফাহিমার জন্য কাপড়চোপড় কিনে গ্রামের বাড়ি যান তিনি। কিন্তু সেগুলো ফাহিমা ফেলে দেন। ফাহিমা তাঁর কথা শুনতেন না। কিছুদিন পর ঢাকার চাকরি ছেড়ে তিনি গ্রামে ফিরে যান। এভাবে গ্রামে পাঁচ মাস কাটানোর পর ফাহিমাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। বাসা নেন আশুলিয়ায়। বাড়ি থেকে আসার তিন দিনের মাথায় ফাহিমার একটি গার্মেন্টসে চাকরি হয়। মজনুর তখনো চাকরি হয়নি। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মজনু সন্ধ্যার সময় বাসার বাইরে যান। সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরে ফাহিমাকে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে দুজনের মধ্য কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে পরদিন রাতে বঁটি দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেন মজনু মিয়া।

এ ঘটনায় ফাহিমার মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আজ আদালত মজনু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামী মজনু মিয়ার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।