মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কানিজ সুলতানা হেলেন ওরফে কাজী হেলেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় নিবন্ধন করা সমিতি ও মহিলা অঙ্গসংগঠনের একাধিক নারী সংগঠক লিখিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
এ ছাড়া কানিজ সুলতানার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কানিজ সুলতানা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পদ ছাড়াও আট বছর ধরে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জেলার বিভিন্ন মহিলা সমিতিতে অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৫০ শতাংশ অর্থ উৎকোচ হিসেবে অগ্রিম আদায় করেছেন। এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন সমিতিতে বিশেষ এবং সাধারণ অনুদানসহ ৭৭টি প্রতিষ্ঠানে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দকৃত অর্থ পেতে তাঁকে অর্ধেক অর্থ উৎকোচ হিসেবে আগাম দিতে হয়েছে। তিনি এ সময়ের মধ্যে নারী উন্নয়ন কর্মসংস্থানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের অন্তত ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন।
সমকাল মহিলা সমিতির সভানেত্রী শাহিদা বেগম বলেন, প্রতিবছর অনুদান পেতে হলে তাঁকে (কানিজ সুলতানা) বরাদ্দকৃত অর্ধেক অর্থ অগ্রিম দিতে হতো। তা না হলে তিনি অনুদান আবেদন ফরমে সুপারিশ করতেন না। তাঁর (শাহিদা) কাছ থেকে আট হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে অনুদান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দুজনের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। কোনো সমিতির সভাপতি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তিনি (কানিজ) সে সমিতির অনুমোদন বাতিল করার হুমকি দেন।
মহিলা সংস্থার খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ট্রেডের প্রশিক্ষক মেহেরুন্নেছা লীমা বলেন, একটি চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা উৎকোচ নেন কানিজ। ওই টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি কানিজের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। উৎকোচের একটি চুক্তিপত্র তাঁর কাছে সংরক্ষিত আছে বলে দাবি করেন লীমা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কানিজ সুলতানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।’