লেকহেড স্কুলের জন্য ৭ দিনে কমিটি গঠনের নির্দেশ

লেকহেড গ্রামার স্কুল
লেকহেড গ্রামার স্কুল

রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুল ব্যবস্থাপনার জন্য ৭ দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শিক্ষাসচিব বরাবর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এই কমিটি হবে। কমিটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি থাকবে। স্কুলটির শাখাগুলোতে সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোর থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে।

লেকহেড গ্রামার স্কুলের দুটি শাখা খুলে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ।

আদালত বলেছেন, যে কমিটি গঠন করা হবে, তারা স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা দেখবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা আছে কি না, তাও দেখবে কমিটি। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ে চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে আদালত আদেশে বলেছেন।

আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম, এ এফ হাসান আরিফ ও রাশনা ইমাম।

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে গত ৫ নভেম্বর ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে প্রতিষ্ঠানের ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুল মালিক ও দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক পৃথক রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে স্কুল মালিককে স্কুল খোলা ও পরিচালনা করতে দিতে বিবাদীদের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৪ নভেম্বর লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরদিন হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি।