বিভেদ ভুলে আ.লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠে

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ততই বাড়ছে। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে। সমর্থকেরাও বসে নেই। তাঁরাও ছুটছেন। সেই সঙ্গে মান-অভিমান ভুলে ঝিমিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গণসংযোগে নেমেছেন। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপিও পিছিয়ে নেই।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১৬ জন। রংপুরের রাজনীতিতে তাঁরা সক্রিয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক মাস আগে থেকেই তাঁরা নগরজুড়ে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন সেঁটে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছিলেন। পরে এসব নেতার কাউকেই মেয়র পদে মনোনয়ন না দেওয়ায় সবার মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিমান করেই তাঁরা নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। অনেকে কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজে নেমে পড়েন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ একাধিকবার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে। মেয়র পদপ্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদের সঙ্গেও মতবিনিময় করা হয়। অবশেষে সব বিভেদ ভুলে দলের অধিকাংশ নেতা এখন নৌকার পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।

আওয়ামী লীগ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের বড় দলে অনেক নেতা। তাই মেয়র পদে প্রার্থী হতে অনেকের প্রত্যাশা ছিল। যেমন আমিও ছিলাম। অনেকের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি ঠিকই। এ কারণে নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়লেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। নৌকার পক্ষে সবাই এখন মাঠে নেমেছেন।’

এদিকে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রমে নেতা-কর্মীরা আরও সরব হয়ে উঠছেন। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিএনপির ২০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আছে। আর জাতীয় পার্টির রয়েছে ১৫ জন। কাউন্সিলর প্রার্থী কম বলে দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে দিন-রাত গণসংযোগে ব্যস্ত তাঁরা।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টি মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সংলাপে নাগরিক অগ্রাধিকার

ইউএসএআইডি, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইউকেএআইডি’র যৌথ আয়োজনে রংপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘নাগরিক অধিকার’ বিষয়ে গতকাল বুধবার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেয়র পদপ্রার্থী জনগণের মুখোমুখি হন। এই তিন মেয়র পদপ্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান ও বিএনপির কাওছার জামান।

নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সরফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকার কারণে মেয়র থাকাকালীন যানজট দূর করতে অভিযান চালাতে পারিনি। সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে শ্যামাসুন্দরী খালকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা আছে।’

মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আধুনিক মডেল সিটি করতে চাই। যা দ্রুত করা সম্ভব নয়। আমি নির্বাচিত হলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মডেল নগর গড়ে তুলতে পরিকল্পনা করব।’

কাওছার জামান বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে প্রথম কাজটি হবে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। এরপর উন্নয়নমূলক কাজ।’