দৌলতদিয়া ঘাটের বিশৃঙ্খলা থাকবে না: নৌপরিবহনমন্ত্রী

শাজাহান খান ।  ফাইল ছবি
শাজাহান খান । ফাইল ছবি

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ঘাটে আজকের যে বিশৃঙ্খলা, আগামী এক মাস পর তা আর থাকবে না। এখন থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের চালক, শ্রমিক নিজেরাই ফেরি পারাপারের টিকিট কাটবেন। চালক ও সহকারীরা কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ফেরিস্বল্পতা দূর করতে ডিসেম্বর মাসে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের জন্য আরও দুটি নতুন ফেরি নামানো হবে। এ ছাড়া জরুরি পচনশীল ও যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্গে ভারতগামী কোচগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট রেস্টহাউস চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সুষ্ঠু ও নিরাপদ গাড়ি পারাপারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন এ আলোচনার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী। আলোচনা সভায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ঘাটে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নৌপথে যানবাহন পারাপার ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগ দূর করতে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী।

কমিটিতে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে পুলিশ সুপার, পরিবহনশ্রমিক, শ্রমিক ফেডারেশন, রাজবাড়ী পরিবহন শ্রমিক সংগঠন, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে ঘাটের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের প্রস্তাব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পেশ করবে।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন শীল, যুগ্ম সচিব (পরিচালক বাণিজ্য) সহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আবদুল জব্বার, পুলিশ সুপার সালমা ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী এরাদত আলী, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রমুখ।