ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্ক

অছাত্র, বিবাহিত ও মাদকসেবীদের নিয়ে খিলগাঁও মডেল কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। তবে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন এ ধরনের অভিযোগ তিনি পাননি। আর যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁরা বলছেন, পদবঞ্চিতরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব রটাচ্ছেন।

গত ৫ নভেম্বর বদরুল আমিনকে আহ্বায়ক করে খিলগাঁও মডেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ৯ নভেম্বর এম আই খান নামে একজন ইউটিউবে বদরুল আমিনের একটি ভিডিও আপলোড করেন। মূলত এই ভিডিওটিকে কেন্দ্র করেই আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আলোচনায় আসতে থাকে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, বদরুল আমিন খালি গায়ে বসে আছেন। তাঁর মুখে সিগারেটের মতো দেখতে চিকন এক পাইপ। পাশে বসা আরেক যুবক তাঁর সামনে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ধরে রেখেছেন। তিনি কিছু একটা টেনে নিচ্ছেন। তারপর মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছেন।

ওই ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে চাইলে বদরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোপন ক্যামেরা বা মোবাইলে আমার অজান্তে ভিডিওটি ধারণ করা। এটি দেড় বছর আগের। ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী মারুফ হোসেন ভিডিওটি করেছে।’ তাঁর দাবি, মারুফ হোসেনের জন্মদিন উপলক্ষে তিনি তাঁর বাসায় যান। রাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পর তাঁকে কোমল পানীয় খেতে দেওয়া হয়। এই পানীয় খাওয়ার পর তিনি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কৌশলে মারুফ সব সাজিয়ে এই ভিডিও ধারণ করেন।

বদরুল বলেন, মারুফ কলেজে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ছিলেন। পদ না পেয়ে কমিটিকে বিতর্কিত করতে তিনি এখন ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি অন্যদের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে।’

বদরুলের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মারুফ বলেন, ‘বদরুলের দাবি মিথ্যা। ভিডিওটি আমার বাসার নয়। আর আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) সাব্বির হোসেনের গ্রুপ করতাম। তাঁকে বহিষ্কার করার পর থেকে আমি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। আমি পদপ্রত্যাশী ছিলাম না।’

বদরুল ছাড়াও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নামে লিখিত এক অভিযোগপত্রে কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ে, এক সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রত্ব না থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠা ওই দুই নেতা সম্পর্কে বদরুল বলেছেন, কোনো অভিযোগই সত্য নয়।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, খোঁজখবর নিয়েই কমিটি দেওয়া হয়েছে। খিলগাঁও মডেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।