সেই ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ে ‘মাসোহারা দিলেই মাফ’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে কার্যালয়ের এই ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার সত্যতা মেলার কথা ও নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়।

আজ রোববার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রজ্ঞাপনে ওই ছয়জনকে বদলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে নোয়াখালী, উপপরিদর্শক জুলহাস আহমেদকে মুন্সিগঞ্জ, সহকারী উপপরিদর্শক সানাউল্লাহ মিয়াকে বরগুনা, সিপাহি জিয়াউল হককে ঠাকুরগাঁও, আনোয়ার হোসেন ও আমজাদ হোসেনকে বরিশালে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের ১ জানুয়ারির মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা যে অপরাধ করেছেন, তার প্রাথমিক শাস্তি হচ্ছে বদলি। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন ছিলেন তিন সদস্যের ওই কমিটির প্রধান। ১০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এ প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আদায় করেছেন। তদন্তে ও প্রথম আলোর অনুসন্ধানে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে এমন অন্তত চারটি ঘটনায় টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।