বিদ্যুতের মিটার চুরি ঠেকাতে মাইকিং!

joypurhat
joypurhat

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় সেচ ও শিল্পকারখানার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক মিটার লোহার খাঁচার ভেতরে রাখার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তবে পুলিশ বলছে, এভাবে মাইকিং করায় আতঙ্ক বাড়বে।

উপজেলায় গ্রাহকদের সাবধান করতে গতকাল বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার মাইকিং করা হয়েছে। জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাতের বেলায় সেচ ও শিল্পকারখানার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করছে। গত বছরও এ ঘটনা ঘটেছে। মিটার চুরি রোধ করতে গ্রাহকেরা যেন লোহার খাঁচার ভেতর মিটার রাখেন ও রাতের বেলা মিটার পাহারা দেন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর এ সময়টাতে সংঘবদ্ধ চক্র রাতের বেলায় সেচ ও শিল্পকারখানার মিটার চুরি করে মুঠোফোন ও বিকাশ নম্বর রেখে যায়। খোয়া যাওয়া সেচ ও শিল্পকারখানার মালিকেরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ওই চক্রকে টাকা পাঠাচ্ছেন। এরপর চক্রটি রাতের বেলায় একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিটার রেখে মালিকদের মুঠোফোনে জানিয়ে দেয়। মালিকেরা সেখান থেকে মিটার নিয়ে আসেন। এ ছাড়া মালিকদের চোরেরা হুমকি দেয়, যদি তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানান তাহলে তাঁদের মিটার আবার চুরি করা হবে।

২৩ ডিসেম্বর রাতের বেলায় উপজেলার দেবীসাউল গ্রামের পূর্ব মাঠের দুটি গভীর নলকূপের মিটার চুরি হয়। এক দিন পর সেই মাঠে খোয়া যাওয়া দুটি বৈদ্যুতিক মিটার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গভীর নলকূপের মালিকেরা গত বুধবার থানায় দুটি জিডি করেন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ইয়াকুব আলী শেখ বলেন, গত বছর রাতের বেলায় সেচ ও শিল্পকারখানার অনেক বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছিল। কয়েকজন ভুক্তভোগী মালিক থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ মিটার চোরদের শনাক্ত করতে পারেনি। পরে ভুক্তভোগীরা গোপনে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছেন। তাই সেচ ও শিল্পকারখানার মিটার চুরি রোধ করতে এবং আগাম সতর্কতার জন্য পুরো উপজেলায় দুদিন মাইকিং করা হয়েছে।

ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেভাবে মাইকিং করেছে তাতে মনে হচ্ছে সেচ ও শিল্পকারখানার মিটার চুরি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এভাবে মাইকিং করায় সেচ ও শিল্পকারখানার মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সমিতি মিটারগুলো ৩–৪ ফুট উঁচুতে স্থাপন করে। অন্তত ১৫ ফুট উঁচুতে মিটার বসানো উচিত।

তবে ডিজিএম ইয়াকুব বলেন, ১৫ ফুট উঁচুতে মিটার বসালে মিটার রিডিং করতে মিটার রিডারদের কাঁধে করে মই নিয়ে ঘুরতে হবে।