জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত

রাজধানীতে কনকনে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে গরম কাপড়ে জড়িয়ে শিশুকে নিয়ে পথ চলছেন এক মা। গতকাল দুপুরে হাতিরঝিল এলাকায় l সাবিনা ইয়াসমিন
রাজধানীতে কনকনে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে গরম কাপড়ে জড়িয়ে শিশুকে নিয়ে পথ চলছেন এক মা। গতকাল দুপুরে হাতিরঝিল এলাকায় l সাবিনা ইয়াসমিন

পৌষের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সারা দেশে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। এক দিনে সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে আট ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে শীতের প্রকোপ বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, তবে রাতে শীতের অনুভূতি আগের মতোই থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দিন ধরে যে শীতল দমকা হাওয়া বইছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের নদী এলাকাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা এক লাফে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। গত বুধবার সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা কমে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পরিণত হয়েছে। তবে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এবারের শীতের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীত ঋতুর মাঝামাঝি এসেও কয়েক দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত কয়েকটি কারণে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তাপমাত্রা কমে যায়। গত দুই দিনে উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের কারণে মেঘ কেটে গেছে। ফলে শীতল বায়ু দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হঠাৎ শীত বেড়ে গেছে। আগামী দু-এক দিন এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।