পাজেরোতে ১৩ বস্তা ফেনসিডিল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পাজেরো গাড়ি থেকে প্রায় চার হাজার বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার দুজনকে দুই দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

আসামিরা হলেন হৃদয় আলম (২৫) ও হাসানুর রহমান (২৬)। হৃদয়ের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ে, হাসানুরের সাতক্ষীরায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১০।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। অনেক আগে থেকে এই চক্রের সদস্যরা রাজধানীতে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। চক্রের মূল হোতাসহ পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, ‘আসামিরা ঢাকা শহরে ফেনসিডিল ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে র‍্যাব-১০-এর একটি টহল ধানমন্ডির সুবাস্তু ইত্তেহাদ স্কয়ারের সামনে অবস্থান করছিল। তখন কলাবাগান থেকে নিউমার্কেট অভিমুখী একটি পাজেরো গাড়ি আসতে থাকে। র‍্যাবের সদস্যরা গাড়িটি থামানোর জন্য সংকেত দেন। তখনই গাড়ির পেছনে বসে থাকা দুজন গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে পালিয়ে যান। গাড়ির চালক হৃদয় আলম ও তাঁর পাশে বসে থাকা হাসানুর রহমানের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাঁরা দেখাতে পারেননি। পরে গাড়ি তল্লাশি করে প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি ৩ হাজার ৮৭০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে র‍্যাব। জব্দ করা হয়েছে গাড়িটিও।

মামলার সাক্ষী হরিপ্রসাদ ঋষি প্রথম আলোকে বলেন, র‍্যাব সদস্যদের দেখার পর গাড়ি থেকে নেমে দুজন পালিয়ে যান। পরে গাড়ির পেছনে ১৩টি প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি ফেনসিডিল পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১০-এর ডিএডি মো. খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, সাতক্ষীরা থেকে পাজেরো গাড়িতে করে ফেনসিডিল আনে এসব মাদক ব্যবসায়ী। গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী হাসান ও জসীম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন।