তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ ৪ বছর করার প্রস্তাব

জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর নির্ধারণের প্রস্তাব করে একটি আইনের খসড়া জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) বিল-২০১৮’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ‘বাহিনী প্রধানদের নিয়োগের মেয়াদ হবে, একসঙ্গে বা বর্ধিতকরণসহ, নিয়োগ প্রদানের তারিখ হতে অনূর্ধ্ব চার বছর।’

বিলে বলা হয়েছে, পদ থেকে অবসর নেওয়ার দিন থেকেই বাহিনী প্রধানেরা অবসরপ্রাপ্ত বলে গণ্য হবেন। কোনো বাহিনীর প্রধান অবসর নেওয়ার পর কোনো সামরিক বা বেসামরিক পদে পুনঃ নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে চুক্তি ভিত্তিতে কোনো বেসামরিক পদে নিয়োগ পেতে পারেন।

মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) বিল পাস
মঙ্গলবার সংসদে ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) বিল, ২০১৭’ পাস হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।

নতুন আইন অনুযায়ী, বাবা-মা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও রক্ত সম্পর্কিত আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা-নানি, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি, আপন চাচাতো-মামাতো-ফুপাতো ও খালাতো ভাই-বোনেরাও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন।

‘অঙ্গপ্রত্যঙ্গ’ বলতে মানবদেহের কিডনি, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম ও টিস্যুসহ মানবদেহে সংযোজনযোগ্য যেকোনো অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গকে বোঝাবে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো হাসপাতাল সরকারের অনুমতি ছাড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে না। এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত ইউনিটে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে না।

বিলে বলা হয়েছে—‘সুস্থ ও স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তির চোখ ছাড়া অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিযুক্তির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা না থাকলে তিনি নিকটাত্মীয়কে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারবেন। তবে চোখ ও অস্থিমজ্জা সংযোজন ও প্রতিস্থাপনে নিকটাত্মীয় হওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড বিল সংসদে
মঙ্গলবার ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিল-২০১৮’ সংসদে তোলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম। বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের মানসম্পন্ন সেবা দেওয়া, তাঁদের আস্থা অর্জন, মৃত কর্মীদের মরদেহ আনা, ব্যয় নির্বাহ এবং এ-সংক্রান্ত কাজে জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ আইন করা হচ্ছে।

খসড়া আইনে নারী অভিবাসীদের জন্য একটি বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।