কোরাম ছাড়াই চলল সংসদ অধিবেশন

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে আজ বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একপর্যায়ে কোরামের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ৬০ জন সাংসদও অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না। তবে বিষয়টি কেউ স্পিকারের নজরে আনেননি। ফলে ৬০ জনের কমসংখ্যক সদস্য নিয়েও চলে অধিবেশন।

সংবিধান অনুযায়ী, ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত না থাকলে সংসদের কোরাম হয় না। কোরাম না থাকলে বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করতে হয়। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা আছে, কোরাম-সংকটের জন্য অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কোরাম হওয়ার জন্য তিনি পাঁচ মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ দেবেন। এর মধ্যে কোরাম না হলে স্পিকার অধিবেশন মুলতবি রাখবেন।
তবে আজ কোরাম-সংকটের বিষয়টি নিয়ে কেউ স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি।
আজ বৃহস্পতিবার ছিল বেসরকারি সদস্য দিবস। মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দেখা যায়, অধিবেশন কক্ষে ৫৮ জন সদস্য উপস্থিত আছেন। এ সময় অধিবেশন পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। পরে উপস্থিতি আরও কমে যায়।
এ সময় মন্ত্রীদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে টেকনোক্রাট মন্ত্রী নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কোরাম-সংকটের কারণে অধিবেশন মুলতবি বা স্থগিত করা না হলেও আগেভাগেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
অধিবেশন শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
আজকের দিনের কার্যসূচিতে দেখা যায়, বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন পাবনার সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, চট্টগ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও দিদারুল আলম, ঢাকার এম এ মালেক এবং ফেনীর রহিম উল্লাহ। এর মধ্যে এম এ মালেক ও রহিম উল্লাহ ছাড়া বাকি তিনজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন না। দিনের সর্বশেষ কার্যসূচি রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের আব্দুল মান্নান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরও একজন বক্তা নির্ধারিত থাকলেও তাঁর বক্তব্যের আগেই সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।